সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের চার জেলায় ট্রেকিং করার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাল পর্যটন দপ্তর। তাতে ৮৭টি ট্রেকিং রুটের ঠিকানা ও মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হোম-স্টেগুলিকে গোটা বিশ্বের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য পর্যটন দপ্তর। সব ঠিক থাকলে হয়তো পুজোর আগেই পর্যটন দপ্তরের সরকারি ওয়েবসাইটে মিলবে ওই চার জেলার নথিভুক্ত হোম-স্টেগুলির যাবতীয় তথ্য। সেখান থেকেই করা যাবে অনলাইন বুকিংও। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
মন্ত্রী বলেন, “মূলত সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক নয় এমন ছোট হোম-স্টেগুলিকে তুলে ধরতে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে রাজ্যের এই উদ্যোগ।” প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এদিন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে উৎসাহ দিতে এবং অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের জন্য ট্রেকিং গাইড হ্যান্ডবুক প্রকাশ করা হয়েছে পর্যটন দপ্তরের তরফে।
[ আরও পড়ুন: বিদেশ ডাকছে? পুজোয় ঘুরে আসুন কম খরচে ]
পুজোর আগেই সমস্ত তথ্য আপলোড করার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। আপাতত প্রথম পর্যায়ে ২৯৭টি হোম–স্টেকে আবেদনের ভিত্তিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং। এই চার জেলার হোম-স্টেগুলিকেই আপাতত বেছে নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এই চার জেলাতে আড়াই হাজারের বেশি হোম-স্টে রয়েছে। তবে তার মধ্যে যে সমস্ত হোম-স্টের ঘর সংখ্যা তিন বা তার কম, সেই সমস্ত হোম-স্টেগুলিকে প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
তার কারণ হিসেবে মন্ত্রী জানান, তিনটির বেশি ঘর রয়েছে যাঁদের, সে সমস্ত হোম-স্টেগুলি বাণিজ্যিকভাবে মূলত কাজ করে। পাশাপাশি ধরে নেওয়া হচ্ছে যাদের চারটি ঘর রয়েছে তারা নিজেরাই নিজেদের হোম-স্টের প্রচার করতে সক্ষম। রাজ্যের তরফে যে সমস্ত হোম-স্টেগুলিকে এই তালিকার মধ্যে আনা হচ্ছে, তাদের হয়ে প্রচারের পাশাপাশি দেড় লক্ষ টাকা করে ঘর সংস্কারের জন্য দেওয়া হবে। তিনটি পর্যায়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে হোম-স্টেগুলিকে সাহায্য করবে পর্যটন দপ্তর। পাশাপাশি এদিন যে ট্রেক গাইড ম্যাপের উদ্বোধন হল, তাতে ৮৭টি ট্রেকিং রুটের ঠিকানা ও মানচিত্র দেওয়া রয়েছে।