Advertisement
Advertisement

Breaking News

গজলডোবার ভোরের আলো

করোনা আবহে পর্যটক টানতে ঢেলে সাজছে গজলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্র

ফের তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ে পর্যটনকে সচল করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী পর্যটন দপ্তর।

Vorer alo project may earn money in festival project
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 16, 2020 10:37 pm
  • Updated:August 16, 2020 10:37 pm

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি:  আনলক পর্যায়ে সমস্ত কিছু খুলে গেলেও এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি পর্যটন সার্কিট। তারই মধ্যে পুজোর আগে গজলডোবার ভোরের আলো পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য পর্যটন দপ্তর। বেশ কিছু নতুন বিনোদন যুক্ত হয়েছে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে। লকডাউন পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে কাজগুলি সেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ যে ক্ষতি পর্যটন সার্কিটে হয়েছে, ভোরের আলো খুলে গেলে অন্তত কিছুটা হলেও তা লাঘব হবে বলে আশা করছে রাজ্য। পাশাপাশি ভোরের আলোকে কেন্দ্র করেই ফের তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ে পর্যটনকে সচল করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী দপ্তর।

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “পুজোর আগেই অনলাইন বুকিং চালু করে দেওয়া হবে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের জন্য।” যে বিনোদনের উপকরণগুলি তৈরি করার কাজ চলছিল সেগুলিও খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি। কিছু পর্যটনকেন্দ্র অবশ্য ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গজলডোবা থেকে সরস্বতীপুর বাগানের ভিতর থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্ক পর্যন্ত জঙ্গল পথ প্রায় তৈরি। এই রাস্তায় সাফারির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। গজলডোবা ভোরের আলো প্রকল্প থেকে দপ্তরের গাড়িতে সাফারি পার্ক ভ্রমণ করার সুযোগ মিলবে। পাশাপাশি ভোরের আলো থেকেই হাতি সাফারি চালু করা হবে। সেইসঙ্গে প্রস্তুত হচ্ছে নৌকা বিহারের ব্যবস্থাও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনার জেরে ২ হাজার সরীসৃপের ঘর বিপন্ন, সংকটে দেশের বৃহত্তম কুমির পার্ক]

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেলস ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক তন্ময় গোস্বামী জানিয়েছেন, ২৫ মার্চের পর থেকে তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ের পর্যটনে প্রতিদিনের গড় ক্ষতি পঁচিশ কোটি টাকা। মাঝে কিছুদিন পর্যটনে ছাড় মিললেও তা কখনই ক্ষতির পরিমাণকে কমাতে পারেনি। শুধুমাত্র হোটেল ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে গড়ে ১২ কোটি টাকা। পরিবহণ এবং আনুষঙ্গিক ক্ষতি আরও ১৩ কোটি টাকা। যা পরিস্থিতি অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, পর্যটন ব্যবসা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। দ্রুত সরকারি, বেসরকারি সমস্ত স্তরে একসঙ্গে সার্কিটকে টেনে তুলতে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় যেতে চলেছে। তার মধ্যে গজলডোবার মতো মেগা পর্যটন প্রজেক্ট খুলে দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয় সরকারি পদক্ষেপ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আনলক পর্বে মন টিকছে না ঘরে? গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই অফবিট ডেস্টিনেশনে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ