সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটটাল ডেস্ক: করোনা কালে মনের ডানা দু’টোর ছটফটানি যেন একটু বেশিই বেড়ে গিয়েছে। সমস্ত বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে উড়ে যেতে চাইছে মুক্ত আকাশে। নির্দ্বিধায় শুয়ে পড়তে চাইছে সবুজ ঘাসের নরম বিছানায়। দূরের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে প্রাণ খুলে চিৎকার করতে চাইছে। নিউ নর্মালে নিজের গাড়ি থাকলে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। আবার চক্ষুযুগলকে আরাম দিয়ে সপ্তাহান্তে ভার্চুয়াল ভ্রমণও করতে পারেন। মনের জানলা পেরিয়ে যে পথেই যান আপনার ডেস্টিনেশনের তালিকায় বাগোরা (Bagora) থাকতেই পারে।
[আরও পড়ুন:এবার দেশে তৈরি হবে হনুমানের ২১৫ ফুট উঁচু মূর্তি, খরচ পড়বে ১২০০ কোটি টাকা]
কার্শিয়াং(Kurseong) সাব-ডিভিশনের ছোট্ট গ্রাম বাগোরা। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ট্রেকারদের যাওয়ার পথেই পড়ে। সর্বোচ্চ উচ্চতা ৭,১৫০ ফুট।

কী কী দেখবেন–
- ছিমছাম গ্রামের চারপাশ যেন সবুজে মোড়া।
- দূরে তাকালেই দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যোদয়ের সময় রক্তিম আভায় ভরিয়ে দেবে মনপ্রাণ।
- কান পাতলে শোনা যাবে পাখিদের কলতান।
- চাইলে গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে পারেন।
- কাছাকাছিই রয়েছে আরও কিছু দর্শনীয় স্থান। ৪ কিলোমিটার দূরত্বে চিমনি (Chimeni), মংপু (Mongpu) ১২ কিলোমিটার আর চটকপুরের (Chatakpur) দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। ঘুরে আসতেই পারেন।
- তারপর দিনের শেষে চা কিংবা কফির কাপে নিশ্চিন্তের চুমুক দিতে দিতে অনুভব করতে পারেন পাহাড়ের নিস্তব্ধতা।

কীভাবে যাবেন —
শিলিগুড়ি (Siliguri) হয়ে কার্শিয়াং যেতে হবে। সেখান থেকে ডানদিকে কিছুটা সময় গেলে পাওয়া যাবে বাগোরা গ্রাম। কলকাতা (Kolkata) থেকে দূরত্ব ৬০০ কিলোমিটার। বছরের যেকোনও সময় যাওয়া যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: ঘুরতে যাবেন রামচন্দ্রের মামাবাড়ি? পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সেজে উঠছে ছত্তিশগড়ের এই গ্রাম]
কোথায় থাকবেন —
বন দপ্তরের একটি বাংলো রয়েছে বাগোরায়। রয়েছে একটি প্রাইভেট হোম স্টে। করোনা পরিস্থিতিতে আগে থাকতে থাকার জায়গা ঠিক করে যাওয়াই ভাল।
