সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বহু প্রতীক্ষিত ভূমিপুজো ও শিলান্যাস করার পরই অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সোমবার থেকে পুরোদম চালু হবে কাজ। এখন বরাদ্দ জমিতে সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। অযোধ্যায় জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে বিজয়োৎসব চলছে। হিন্দুদের বহু বছরের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এবার রামচন্দ্রের মন্দির প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ সূচনার মধ্যেই তাঁর পরম ভক্তেরও মূর্তি স্থাপনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাও আবার সঠিক জায়গাতেই। পুরাণের কিষ্কিন্ধ্যা বর্তমানে কর্ণাটকের হাম্পিতে (Hampi) হনুমানের (Hanuman) গগনচুম্বী মূর্তি স্থাপন করা হবে। হাম্পি তথা গোটা দেশবাসী এই খবরে উদ্বেলিত। সবার মুখেই এখন একটা কথা, রাম মন্দির, হনুমান মূর্তি স্থাপনের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতই সত্য ও ত্রেতা যুগের সনাতন ভারতবর্ষ ফিরে পাচ্ছে দেশবাসী। যার স্বপ্ন বহুদিন ধরে দেখছেন হিন্দুত্ববাদীরা।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পাশাপাশি রামের মূর্তিও হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। অযোধ্যা জেলার বরহাটা গ্রামে হবে শ্রী রামের সেই আকাশছোঁয়া মূর্তি। এর উচ্চতা হবে ২২১ মিটার। তবে ভগবানের থেকে ভক্তের মূর্তি ছোট করা হবে। জানা গিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই হাম্পিতে হনুমানের মূর্তি ছয় মিটার কম করা হবে। মূর্তির উচ্চতা হবে ২১৫ মিটার। এই মূর্তি তৈরির জন্য হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। এই ট্রাস্টই মূর্তি তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করবে বলে জানা গিয়েছে। সেই অর্থ সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হনুমান রথযাত্রার আয়োজন করা হবে। পুরাণ অনুযায়ী, বানররাজ বালি ও পরে সুগ্রীবের রাজত্ব ছিল কিষ্কিন্ধ্যায়। সেই কিষ্কিন্ধ্যাই বর্তমানে হাম্পি। হাম্পির কাছে অঞ্জনাদ্রি পর্বতের চূড়ায় হনুমানের একটি মন্দির রয়েছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে গেলে ভক্তদের ৫৫০টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়। পুণ্যার্থীদের কষ্ট লাঘব করতেই হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এই উদ্যোগ নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরকাশীর ভগ্নপ্রায় ব্যাসগুহা সংস্কার করে মন্দির স্থাপন বাঙালি সন্ন্যাসীর]
জানা গিয়েছে, অন্তত ছ’বছর সময় লাগবে এই আকাশছোঁয়া হনুমান মূর্তি বানাতে। খরচ পড়বে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। মূর্তি তৈরির খরচ কিছুটা দেবে কর্ণাটক সরকার (Karnataka)। এবং বাকিটা হনুমান রথযাত্রার মাধম্যে গোটা দেশের ভক্তদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। ইতিমধ্যে কর্ণাটক সরকারের কাছে মূর্তি তৈরির অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে ট্রাস্টের তরফ থেকে। দেশে পবিত্র রাম মন্দিরের পাশাপাশি তাঁর ভক্ত হনুমান মূর্তি তৈরির খবরে উচ্ছ্বসিত দেশের আপামর জনগণ।
[আরও পড়ুন: এবার কাশী-মথুরা ‘মুক্ত’ করতে হবে, আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক আখাড়া পরিষদের]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights