সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের এক নম্বর মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপও কি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ভাগ করে নিচ্ছে অন্যদের সঙ্গে? ২২০ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক এ দেশে মেসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করে দৈনিক মেসেজ, ছবি ও ভিডিও লেনদেন করেন। সম্প্রতি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি নিয়ে এসেছে পেমেন্ট পরিষেবাও। কিন্তু এবার ওই অ্যাপ কর্তৃপক্ষই জানালেন, গ্রাহকদের লেনদেন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও উন্নততর করতে তারা নাকি ‘কিছু তথ্য’ ফেসবুক-সহ অন্য থার্ড পার্টি অ্যাপের সঙ্গে ভাগ করে নেন তারা।
[তথ্য চুরির শঙ্কায় ভুগছেন! জানেন ফেসবুক ও গুগল আপনার সম্পর্কে কী কী জানে?]
হোয়াটসঅ্যাপ তাদের এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, ভারতের পেমেন্ট প্রাইভেসি পলিসি মোতাবেক তারা গ্রাহকদের কিছু তথ্য থার্ড পার্টি সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। সংস্থাটি জানাচ্ছে, ‘আপনার পেমেন্ট পরিষেবাকে দ্রুত ও উন্নততর করতে আমরা কিছু তথ্য অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিই। পিএসপি’কে নির্দেশ পাঠাই, আপনার লেনদেনের হিস্ট্রি সংরক্ষিত রাখি। যদিও আমাদের পরিষেবা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আপনার লেনদেনকে সুরক্ষিত রাখতে, আপনার তথ্য চুরি ঠেকাতে আমরা ন্যূনতম কিছু তথ্য সংরক্ষিত রাখি।’
এখন প্রশ্ন হল, কী কী তথ্য থাকে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে। সংস্থাটি জানাচ্ছে, গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য, ফোন ও ডিভাইস চিহ্নিতকরণ নম্বর, প্রেরকের UPI পিন নম্বর, VPA- সহ বেশ কিছু তথ্যই সংরক্ষিত রাখে। ফেসবুক অধীনস্থ অ্যাপটি জানিয়েছে, ‘আপনি যখন পেমেন্ট করতে রেজিস্টার করেন, তখন আপনার ব্যাংকের নাম, আপনার ডেবিট কার্ডের আংশিক নম্বর, ডেবিট কার্ডের মেয়াদ আমাদের কাছে সুরক্ষিত থাকে। আপনার এটিএম পিন বা UPI পিনও আমাদের কাছে থাকে। তবে আমরা নিশ্চিত করছি, এই তথ্য অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে নিই না। ‘
[আপনার ফোনে কি রয়েছে Truecaller অ্যাপ? জানেন এর একডজন গুণ?]
এখন প্রশ্ন হল, UPI নির্ভর পেমেন্ট পরিষেবার দৌড়ে ভারতে একা হোয়াটসঅ্যাপই নেই। সংস্থাটি সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রয়েছে গুগল তেজ ও ট্রুকলার-এর মতো অ্যাপও। পেমেন্টের জন্য কিছু তথ্য সব অ্যাপই সংরক্ষিত রাখে। কিন্তু তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেই। কারণটা আর কিছুই নয়, অ্যাপটি ফেসবুক অধীনস্ত বলে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ফেসবুক স্বীকার করে নিয়েছে প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষের তথ্য তাদের কাছ থেকে চুরি গিয়েছে। এই অভিযোগ মার্কিন কংগ্রেসের সামনে নতমস্তকে স্বীকার করে নিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গও। কিন্তু চিড়ে ভিজছে না তাতেও। প্রতিদিনই ফেসবুকের বাজারদর পড়ছে। আর এবার ফেসবুক অধীনস্ত অন্যান্য অ্যাপগুলি মারফতও তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কায় কাঁটা গ্রাহকরা।