সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুরক্ত স্বাভাবিক। তা দেখানোর মধ্যে কোনও দোষ থাকতে পারে না। এই ছকভাঙা বার্তা দিয়েই এল এক স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন। দীর্ঘদিনের ট্যাবু ভেঙে এই প্রথম কোনও বিজ্ঞাপন এতটা সাহসী হয়ে দেখাল ঋতুরক্ত।
[ জিও-র দিওয়ালি ধামাকা, ১৪৯ টাকায় মিলছে দ্বিগুন ডেটা ]
সাধারণত স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে মহিলাদের অসুবিধার ছবি তুলে ধরা হয়। তারপর সেখান থেকে কীভাবে মুক্তি দেবে বিজ্ঞাপনের প্যাডটি, তার গুণগাথা গাওয়া হয়। কোথাও ঋতুরক্তের কোনও ছাপ থাকে না। যেন তা দেখানো অপরাধ। আসলে এটাই ট্যাবু। কখনও কোনও সিনেমায় তা দেখানো হলেও, আজ পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞাপনে এরকমভাবে ঋতুরক্ত দেখানো হয়নি। ব্রিটেনে এই প্রথম কোনও স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনে সাহসী হল। স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর প্রথমে রক্ত ঢালতে দেখা গিয়েছে। বলা হয়েছে, মহিলাদেরও রক্তের রং লাল। এরপর ২০ সেকেন্ডের ক্লিপে এক মহিলাকে দেখানো হয়েছে। যাঁর পা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে ঋতুরক্ত। তারপরই বার্তা, পিরিয়ডস স্বাভাবিক। এবং তা প্রদর্শনেও কোনও দোষ নেই। বডিফর্ম-এর এই ক্যাম্পেন ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়।
[ WhatsApp নিয়ে এল তাদের সবচেয়ে বড় আপডেট ]
সভ্যতা যতই প্রগতিশীল হোক না কেন, মহিলাদের ঋতুচক্র নিয়ে ট্যাবু সারা পৃথিবীতে বিদ্যমান। কিছু ভ্রান্ত মতবাদের কারণে আজও শিক্ষিত মহিলাদের একাংশ ঋতুরক্তকে দূষিত মনে করেন। প্রত্যন্ত সমাজে তো রীতিমতো হেনস্তার শিকার হতে হয় মহিলাদের। ঋতুকালে বাড়ি থেকে নির্বাসিত হয়ে গোয়ালঘরে দিন কাটাতে হয়। অন্যত্র এত খারাপ অবস্থা না হলেও, আজও পিরিয়ডস চলাকালীন বহু মহিলাদের মন্দিরে ঢুকতে দেওযা হয় না। এমনকী গৃহস্থ বাড়িতেও এ নিয়ে বহু বিধিনিষেধ। খেয়াল করলে দেখা যাবে, স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনগুলিও আদতে এই ট্যাবুকে প্রশ্রয় দেয়। সেখানে রক্ত শুষে নেওয়ার প্রক্রিয়া দেখানো হয় বটে, তবে তা নীল রঙে। কেন লাল নয়? মহিলাদেরও রক্তের রং লাল, নীল নয়- এই বিজ্ঞাপন সে কথাই জোর দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে চাইল সভ্যতার মগজে।
[ কাছে এসে ঠিক কী চান পুরুষরা? ফাঁস করলেন যৌনকর্মী ]