Advertisement
Advertisement
Malaria

অবশেষে এল স্বীকৃতি, এই প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল WHO

হু-র এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

World's first Malaria vaccine approved by WHO | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 7, 2021 11:31 am
  • Updated:October 7, 2021 12:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনার চেয়ে ভয়ঙ্কর ম্যালেরিয়া (Malaria)। এই রোগে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু ঠেকাতে পদক্ষেপ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার শিশুদের জন্য বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া টিকা ব্যবহারে অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। হু-র এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে এই সিদ্ধান্তকে ‘বিজ্ঞান, শিশুদের স্বাস্থ্য এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের’ জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। মশাবাহিত রোগে প্রতি বছর চার লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সাল থেকে ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যে কর্মসূচি চলছিল, তার ফলাফল পর্যবেক্ষণের পর আরটিএস, এস/এএস০১ টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই ‘পাইলট প্রজেক্টের’ আওতায় ২০ লক্ষের বেশি টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নতুন মায়েরা কীভাবে ফিট রাখবেন নিজেদের? জেনে নিন শরীরচর্চার খুঁটিনাটি টিপস]

টিকাটি ১৯৮৭ সালে প্রথম তৈরি করেছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জিএসকে। এমনিতে ব্যাকটেরিয়াকে দমন করতে প্রচুর টিকা আছে। কিন্তু এই প্রথম বড় আকারে ‘হিউম্যান প্যারাসাইট’ অর্থাৎ মানবদেহে বিস্তারকারী প্যারাসাইটের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল হু। এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, “সাব-সাহারান আফ্রিকা-সহ বিশ্বের যে সব এলাকায় ম্যালেরিয়ার মাঝারি থেকে উচ্চ পর্যায়ের সংক্রমণ হয়, সেখানে ব্যবহার করা যাবে আরটিএস, এস/এএস০১ টিকা।”

Advertisement

এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হু-এর বিশ্বব্যাপী ম্যালেরিয়া কর্মসূচির অধিকর্তা পেদ্রো আলন্সো বলেছেন, “বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা যুগান্তকারী বিষয়।” বিশেষত যে ম্যালেরিয়ার কারণে বিশ্বে প্রতি দু’মিনিটে একটি করে শিশুর মৃত্যু হয়। তবে ঐতিহাসিক দিনে সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জের অর্থের জোগান। কারণ, অর্থের অভাবে এই ম্যালেরিয়া টিকা আফ্রিকার শিশুদের কাছে অন্তরায় হতে পারে।

[আরও পড়ুন: শুধু গান গেয়েই ফিরছে হারানো স্মৃতি শক্তি, এবার কলকাতায় চালু মেমোরি ক্লিনিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ