সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে রাখে হরি তো মারে কে? রেলের ইঞ্জিনের নিচে চলে গিয়েও প্রাণে বাঁচল মাত্র ২ বছরের খুদে। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে সন্তান ফিরে আসায় খুশি তার মা।
কিন্তু কীভাবে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে চলে গেল ওই একরত্তি? বাবা, মা এবং এক দাদার সঙ্গে দিল্লির ফরিদাবাদের বল্লভগড় স্টেশনের কাছেই বাস ওই খুদের (Baby)। দাদার সঙ্গে রেললাইনের পাশে খেলা করছিল সে। পিঠোপিঠি ভাই। তাই বড় দাদারও সেভাবে বুদ্ধি হয়নি। খেলা চলাকালীন আচমকাই ছোট ভাইকে ধাক্কা দেয় সে। তাতেই সোজা রেললাইনের উপরে গিয়ে পড়ে একরত্তি। ঠিক সেই সময় উলটো দিক থেকে ধেয়ে আসছিল একটি মালগাড়ি। ট্রেনচালক দূর থেকে দেখতে পান রেললাইনের উপর খুদে পড়ে রয়েছে। সজোরে হর্ন দিতে থাকেন তিনি।
দূর থেকে ট্রেন যে ক্রমশ ভাইয়ের দিকে এগিয়ে আসছে তা টের পায় খুদের দাদা। তবু হতচকিত হয়ে যায় সে। কীভাবে ভাইকে রক্ষা করবে তা বুঝতে পারেনি খুদে। তাই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে শিশু। তবে মালগাড়ির চালক খুদেকে রক্ষা করতে তৎপর গয়ে ওঠেন। তড়িঘড়ি আপদকালীন ব্রেক কষেন তিনি। তাতেই মাঝপথে থমকে যায় মালগাড়ি। যদিও ইঞ্জিনের নিচে চলে যায় খুদেটি। ততক্ষণে অবশ্য রেললাইনের আশেপাশে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। প্রত্যেকে চিৎকার চেঁচামেচিও করতে শুরু করেছেন। তবে কথায় বলে, রাখে গরি তো মারে কে? ঠিক সেভাবেই ইঞ্জিনের নিচ থেকে বের করা হয় খুদেকে। তার গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি। এরপর সুস্থভাবে শিশুকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশি খুদের মা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখে গোটা ঘটনাটি জানান চালক দিওয়ান সিং এবং তাঁর সহকারী অতুল আনন্দ। যা বর্তমানে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। খুদেকে বাঁচানোর জন্য চালককে পুরষ্কার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.