Advertisement
Advertisement

Breaking News

dials 100

দু’বোতল ঠান্ডা বিয়ার এনে দেবেন? পুলিশের এমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করে আবদার যুবকের

যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিরক্ত পুলিশ।

A Telangana man dials 100 tells constables to bring him chilled beer | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:May 12, 2022 5:50 pm
  • Updated:May 12, 2022 6:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের আপৎকালীন ১০০ নম্বর নিয়ে আজব কাণ্ডের অন্ত নেই। কিছুদিন আগে স্ত্রী মাটন রাঁধেননি বলে এমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করেছিলেন তেলেঙ্গানার এক যুবক। এবারের ঘটনাও ওই রাজ্যের। ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে বিয়ার এনে দেওয়ার আবদার করলেন এক যুবক। এমন ঘটনায় হতবাক হন পুলিশকর্মীরা।

সোমবার গভীর রাতের ঘটনা। রাত আড়াইটে নাগাদ ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন ২২ বছরের যুবক মধু। পুলিশের কন্ট্রোল রুম ফোন ধরলে যুবক জানায় জরুরি প্রয়োজনে সে ফোন করেছে। কিন্তু কী প্রয়োজন? কোন সমস্য? পুলিশ জানতে চাইলেও ফোনে তা বলতে চায়নি মধু। সে দ্রুত ফোন কেটে দেয়। স্বভাবতই কর্তব্যরত  পুলিশকর্মীরা ভাবেন, নিশ্চয়ই বড় বিপদে পড়েছেন ব্যক্তি। ফলে তড়িঘড়ি দৌলতাবাদে মধুর বাড়িতে পাঠানো হয় দুই পুলিশকর্মীকে। এরপরেই ঘটনা হাস্যকর দিকে মোড় নেয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভাঙন রুখতে মরিয়া বিজেপি! অর্জুনকে তড়িঘড়ি দিল্লি তলব পীযূষ গোয়েলের]

দুই কনস্টেবল মধুর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন সেখানে বিপদ-আপদের নামগন্ধ নেই। চারদিক নিস্তব্ধ। এরপর মধুর বাড়ির ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন ভিতরে রয়েছে এক মদ্যপ যুবক। ১০০ নম্বরে ফোন করেছিল সেই। পুলিশ জানতে চায়, সে ফোন করেছিল কেন? চমকে দেওয়া উত্তর দেয় মধু। সে বলে, “রাত অনেক হয়েছে। সব দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দু’ বোতল ঠান্ডা বিয়ার এনে দেবেন?”

Advertisement

যুবকের এই কথায়, গভীর রাতে এমন হেনস্তায় বিরক্ত হন পুলিশকর্মীরা। মধুকে কয়েক ঘা দিয়ে দেন। এইসঙ্গে ওই রাতেই পুলিশকে হেনস্তা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। একটি সংবাদ মাধ্যম মারফৎ জানা গিয়েছে, পরদিন সকালে মধু ও তাঁর বাবাকে স্থানীয় থানায় ডাকা হয়। সেখানে যুবকের কাউন্সেলিং করেন পুলিশ আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: যৌনকর্মীরও ‘না’ বলার অধিকার আছে অথচ বিবাহিত মহিলার নেই! মন্তব্য দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতির]

প্রসঙ্গত, স্ত্রী মাটন রাঁধেননি বলে এমার্জেন্সি নম্বরে যে যুবক ফোন করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। মোট ছ’ বার ১০০ নম্বরে ফোন করেছিলেন নবীন। একই কথা বারবার ফোনে বলেন। বিরক্ত হয়ে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। শেষ রাতে নবীনের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশকর্মীরা। সেই সময় নবীনকে মদ্যপ অবস্থায় পান পুলিশকর্মীরা। পরদিন সকালে নবীনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জরুরি পরিষেবার অপব্যবহারের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ