Advertisement
Advertisement

Breaking News

International Book of Records

দুবছর বয়সেই কণ্ঠে জাতীয় সংগীত! রেকর্ড বুকে নাম আলিপুরদুয়ারের ‘বিস্ময়কন্যা’র

ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল আলিপুরদুয়ারের কন্যা।

Alipurduar's daughter's name appeared in the International Book of Records
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:June 8, 2024 8:59 pm
  • Updated:June 8, 2024 9:35 pm

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: বয়স মাত্র দুই বছর। ভালো করে হাঁটতে শেখেনি। কথা আধো আধো। নিজের মনের ভাব বোঝাতে সব কথাই যে পরিষ্কার ভাবে বলতে পারে তা নয়। অথচ জাতীয় সংগীত মুখস্থ এই খুদের। শুধু মুখস্থ নয়, উচ্চারণও স্পষ্ট। জাতীয় সংগীত ছাড়াও ইংরেজি মাসের নাম থেকে শুরু করে নামতা, ফুল-ফল, সবজি, পশুপাখি নাম-সহ আরও অনেক কিছু গড়গড় করে বলতে পারে সে। তার জেরেই ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম নথিভুক্ত করে ফেলল আলিপুরদুয়ারের ‘বিস্ময়কন্যা’।

আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের পূর্ব হেদায়েত নগরে বাস বিশ্বাস পরিবারের। চন্দন বিশ্বাসের কন্যা সৌমিলী বিশ্বাস। এই কন্যাই অবাক করে দিয়েছে সকলকে। একনাগাড়ে বলে যেতে পারে মাসের নাম থেকে নামতা। একাধিক ফুল, ফলের নাম থেকে সবজির নাম প্রায় তার মুখের গোড়ায়। জাতীয় সংগীতেও কোনও ভুল নেই। তাতেই নজির গড়ল সে। নিজের নাম তুলে ফেলেছে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে (International Book of Records)। পাড়া-সহ জেলা জুড়ে তার জয়জয়কার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রানিমার হারে অর্ন্তদ্বন্দ্ব! নদিয়ায় জেলা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের]

তবে পরিবার জানাচ্ছেন অন্য কথা। সৌমিলীর বাবা ও মা দুজনেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। সৌমিলীর মায়ের মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরই তাকে বাড়িতে রাখা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে দুজনের কাছে। যেহেতু বাবা-মায়ের দুজনের স্কুল একই, তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে চোখের সামনে রাখতে স্কুলেই নিয়ে যাবেন। সেখানেই অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে বেড়ে উঠছে ছোট্ট সৌমিলী। খেলার ছলে তাকে ধীরে ধীরে বিষয়গুলি শেখাতে থাকেন তাঁরা। তা দ্রুত রপ্ত করেও ফেলে খুদে। সেই দেখেই ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার। তার পরেই মিলল স্বীকৃতি।

Advertisement

সৌমিলীর বাবা চন্দন বিশ্বাস বলেন, ” ওকে অল্প অল্প করে শেখানো হত। দেখলাম ও রপ্ত করতে পারল। তার পর গুগল করে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সেখানে সব কিছু পাঠানোর পর ওর নাম উঠেছে। আমরা খুব খুশি। এখন ও খুবই ছোট। আগামী দিনে কী হবে দেখা যাক। আমারাও আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করব ওর ভবিষৎ গড়ে তুলতে।”

[আরও পড়ুন: কামতাপুরি ভোট হাইজ্যাক! উত্তরের ৩ আসনে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে কেএলও সুপ্রিমো?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ