Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pregnancy

বন্ধ্যাকরণের ২ বছর পরে ফের অন্তঃসত্ত্বা বিহারের গৃহবধূ! ১১ লক্ষের ক্ষতিপূরণ দাবি

ইতিমধ্যেই চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা।

Bihar Woman Gets Pregnant After Two Years of sterilisation, Demands Rs 11 Lakh Compensation | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 12, 2021 7:00 pm
  • Updated:March 12, 2021 7:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া। তিন কন্যা, এক পুত্রসন্তানের জননী বিহারের (Bihar) ফুলকুমারী দেবী। প্রায় ২ বছর আগে আগে সরকারি হাসপাতালে বন্ধ্যাকরণ করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিন আগে আচমকাই চমকে ওঠেন ৩০ বছরের ওই গৃহবধূ। জানতে পারেন, তিনি ফের অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant)! কী করে এমনটা সম্ভব হল, ভেবে পাচ্ছেন না ফুলকুমারী। বিস্ময়ে হতবাক তাঁর স্বামীও। ইতিমধ্যেই সরকারের কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ওই দম্পতি।

মুজাফফরপুরের বাসিন্দা ফুলকুমারী দেবী ও পেশায় দৈনিক মজদুর তাঁর স্বামী। চারটি সন্তান হওয়ার পরে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, আর নয়। এরপর ফের সন্তানের জন্ম হলে আর সংসার চালানো সম্ভব হবে না তাঁদের পক্ষে। সেই হিসেবে ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই মতিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিউবেকটমি অপারেশন করিয়ে নেন ফুলকুমারী। ডা. সুধীর কুমার নামের যে চিকিৎসক অপারেশনটি করিয়েছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ওই দম্পতি। অভিযোগ, এর মধ্যে দু’বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাকি চরম দুর্ব্যবহার করেছেন তাঁদের সঙ্গে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নারীশক্তিকে কুর্নিশ, চোখ বন্ধ অবস্থায় ১৫৫ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে নেমে রেকর্ড মায়ের]

জেলার সিভিল সার্জন ডা. হরেন্দ্রকুমার অলোকের অবশ্য যুক্তি, কখনও কখনও এই ধরনের অপারেশন ব্যর্থও হতে পারে। তবে আপাতত বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনায় রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়। তাঁর কথায়, ”এক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সন্তানের প্রসব ও সেই সংক্রান্ত ওষুধপত্রের যাবতীয় খরচও বহন করে রাজ্য সরকারই। এজন্য রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন করতে হবে।”

Advertisement

কিন্তু কেবল এইটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে পারছেন না ফুলকুমারী দেবী ও তাঁর স্বামী। দারিদ্রে ভরা সংসারে এমনিতেই রয়েছে চারটি সন্তান প্রতিপালনের খরচ। তার উপরে পঞ্চম সন্তান এলে কী করে তাকে বড় করা সম্ভব হবে ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। ফুলকুমারীর স্বামী জানিয়েছেন, ”আমার পক্ষে আরও একটা সন্তানের খরচ চালানো সম্ভব নয়। সেই কারণেই আমার স্ত্রী ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগে গিয়ে ১১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছে রাজ্য সরকারের থেকে।”

[আরও পড়ুন: ‘ঘোড়া ছুটিয়ে অফিসে আসতে চাই’, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন সরকারি কর্মচারীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ