Advertisement
Advertisement

‘ভীতি’ই এখন ‘ভীত’! ডিনার প্লেট সাজছে লুপ্তপ্রায় হাঙরের মাংসে

ডিএনএ পরীক্ষায় প্রকৃত রহস্য জেনে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা।

Endangered shark in plartes.
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 2, 2019 9:10 pm
  • Updated:June 17, 2020 8:02 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম শুনলেই ভয়ে শিউরে উঠতে হয়। জলের নিচে থাকা হিংস্র এবং বিপজ্জনক প্রাণী। কখন যে আস্ত মানুষ কিংবা পশু খাবার হয়ে চলে যাবে তার পেটে, ঠিক নেই। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগামিতায় উলটপুরাণ। সমুদ্রের আতঙ্ক  সেই হাঙরই এখন মশলাদার মাংস হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে খাবারের পাতে। জেনে হোক বা না জেনে, সেই পদই চেটেপুটে খাচ্ছেন ব্রিটিশরা। সম্প্রতি রেস্তরাঁর মেনুকার্ডের ওপর নজর বুলিয়ে এটাই বলছেন গবেষকরা। রান্নাঘরের কাঁচা মাংসের কিছু নমুনার ডিএনএ পরীক্ষার পর প্রমাণিত, লুপ্তপ্রায় প্রজাতির হাঙরই ব্রিটেনের রেস্তোরাঁগুলোয় নতুন স্বাদ নিয়ে এসেছে।

স্ক্যালোপড হ্যামারহেড। হাঙরের এই প্রজাতি শিকারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আছে। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিকার তো বটেই। লুকিয়ে-চুরিয়ে এর মাংস নানা জায়গায় বিভিন্ন মূল্য বিক্রি হচ্ছে। আলাদা করে বিকোচ্ছে পাখনার অংশ বা ফিন। শার্ক ফিন স্যুপ অত্যন্ত লোভনীয় একটি পদ ব্রিটেন-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ফলে চাহিদা বাড়ছে, বাড়ছে বিপন্ন প্রাণীকে আরও দ্রুত বিপন্নতার দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রবণতা। ব্রিটেনের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, স্ক্যালোপড হ্যামারহেড প্রজাতির হাঙরের মাংস ব্রিটেনের রেস্তরাঁগুলিতেই ব্যপক হারে পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখে তাঁদের অনুমান, আরও যেসব বিলুপ্ত প্রজাতির হাঙর আছে, তাদেরও চোরাপথে শিকার করা হচ্ছে।

Advertisement

                                   [পেট্রল ছাড়াই চলবে বাইক, দিশা দেখালেন নদিয়ার স্কুল মাস্টার]

আরও একধরনের হাঙর আছে, যারা আকারে ছোট। স্কোয়ালাস অ্যাকানথিয়াস প্রজাতির সেই হাঙরও ইদানিং বিলুপ্তপ্রায়। অভিযোজনগত নানা কারণে বংশবৃদ্ধি কম হওয়ায় প্রায় শেষের পথে। আর এই হাঙর চোরাশিকারিদের আরও সফট টার্গেট। উত্তর-পূর্ব আটলান্টিকের বাসিন্দাদের দেহও টুকরো টুকরো সোজা বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, খাবার পাতে কোন জাতীয় হাঙর পড়ছে, তা দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই। ধরা পড়ার সম্ভাবনাও কম। সেই কারণেই ডিএনএ পরীক্ষা করার পর গোটা বিষয়টি স্পষ্টভাবে ধরা দিয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এধরনের হাঙর শিকার একেবারেই অন্যায় হিসেবে গণ্য হয়। রয়েছে শাস্তির নিদানও। স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু হাঙরের পদ তৈরিতে কাকে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেকাজে নজরদারি করবে কে? তাই তো নির্দিষ্ট নিয়ম ভেঙে চলছে হাঙর নিধন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সাল থেকেই হাঙরের মাংস বিক্রি বেড়েছে গোটা ইউরোপজুড়ে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষার পরও এতে লাগাম না পড়ালে, সত্যিই সামুদ্রিক দৈত্যদের কেউ কেউ চিরতরে হারিয়ে যাবে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement