Advertisement
Advertisement

নিজেরই শেষকৃত্য! নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এ কেমন রীতি?

কেন জানেন?

 Funeral to usher in New Year
Published by: Tanujit Das
  • Posted:January 1, 2019 8:32 pm
  • Updated:January 1, 2019 9:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার বর্ষবিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল গোটা বিশ্ব। ঠিক সেই সময় নিজের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছিলেন কয়েকজন মানুষ! আতসবাজির রোশনাই যখন ২০১৯-কে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত, তখন কফিনবন্দি অবস্থায় নিজেদের আত্মার শান্তিকামনা করছিলেন তাঁরা। বিষ্ময়কর ঘটনাই আসলে সত্যি৷ আর এটাই নাকি নিয়ম! আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া-সহ গোটা বিশ্বে পালিত হয় নিউইয়ার ইভ। আর এই দিনেই এমন রীতি পালন করে আসছেন ব্যাংককের অদূরে বসবাসকারী বৌদ্ধধর্মাবলম্বী কিছু মানুষ৷

[ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ৬০০ রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্ক কিনছে পাকিস্তান]

Advertisement

এই অঞ্চলের বাসিন্দা ফিতসনু কিয়েংপ্রাদোউক জানান, এটা তাঁদের অনেক প্রাচীন রীতি৷ তাঁরা বিশ্বাস করেন নতুন বছরে তাঁদের নবজন্ম হয়৷ সদ্যজন্ম শিশু যেমন নিষ্পাপ হয়, তেমনই নতুন বছর আসার আগে তাঁরাও পাপ মুক্ত করেন৷ পুরনো বছরের সমস্ত পাপ, অন্যায়, ভুল থেকে মুক্তি পান৷ সেজন্য প্রত্যেক বছর ৩১ ডিসেম্বর জীবিত অবস্থায় নিজেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁরা৷

Advertisement

[অজগরের পিঠে চেপে যাচ্ছে ব্যাঙ, নেটিজেনদের মন জয় করছে এই ছবি]

জানা গিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ওই অঞ্চলের বৌদ্ধমন্দিরগুলিতে মানুষের ঢল নামে৷ বৌদ্ধমতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষ৷ কীভাবে হয় এই শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরপর বেশ কয়েকটি কফিনে প্রথমে শোয়ানো হয় জীবিত ব্যক্তিদের৷ তাঁদের হাতে দেওয়া হয় বিশেষ ফুল৷ এরপর তাঁদের কফিনটিকে ঢেকে দেওয়া হয় গোলাপি কাপড়ে। মন্ত্রপাঠ করেন এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী৷ কোনও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হলে শেষকৃত্যে যে মন্ত্র পাঠ করা হয়, ঠিক সেই মন্ত্র এই রীতির সময়ও পাঠ করেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী৷ পরিবারের সঙ্গে এই রীতিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বুসাবা ওকোং নামের এক মহিলা৷ তিনি জানান, অনেকেই তাঁদের এই প্রথাকে কুসংস্কার ভাবেন৷ কিন্তু এই প্রাচীন রীতিতে এখনও বিশ্বাস করেন তাঁরা৷ তাই প্রত্যেক বছরের শেষদিন মন্দিরে যান এবং জীবিত অবস্থায় নিজেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ