Advertisement
Advertisement

Breaking News

কুমিরের গলায় টায়ার

গলায় টায়ারের ‘মালা’, হাসফাঁস দশা থেকে কুমিরকে মুক্তি দিতে পুরস্কার ঘোষণা প্রশাসনের

কী অবস্থা কুমিরটির, দেখুন ভিডিও।

Indonesia govt. offers reward to make the crorcodile get relief from the tyre
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 31, 2020 8:57 pm
  • Updated:January 31, 2020 8:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রের জলে ভাসছিল একটি টায়ার। সেটাই কোনওভাবে একটি কুমিরের গলায় মালার মতো ঢুকে গিয়েছিল। সেই টায়ারে প্রথমে হাসফাঁস দশা না হোক, কষ্ট তো হচ্ছিলই। তবে নোনতা জলের ওই সরীসৃপকে টায়ারমুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন দক্ষ সব কর্মীরা। বাধ্য হয়ে তাই কুমিরকে গলা থেকে টায়ার খোলার জন্য রীতিমত পুরস্কার দিয়ে লোক ডাকার বিজ্ঞাপন দিল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন। শুধু কাজে এগিয়ে এলেই হবে না, এ ধরনের কাজে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তবেই কাজে ঝাঁপানো যাবে।

সমস্যা ছিল বেড়ালের গলায় কে ঘণ্টা বাঁধবে, তা নিয়ে। আর এখনকার সমস্যা, ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের কুমিরের গলা থেকে কে টায়ারের বাঁধন খুলবে। সুলাওয়েসির রাজধানী পালুর কাছে সমুদ্রের তীরে উদ্ধার হওয়া কুমিরের গলায় টায়ার দেখেই আঁতকে উঠেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ভাবছিলেন, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সে বোধহয় প্রাণটাই হারাবে। সৌভাগ্যক্রমে তা হয়নি। বেঁচেই আছে সে। কিন্তু গলায় বিঁধে রয়েছে টায়ার। অনেকে চেষ্টা করেও তা খুলে ফেলতে পারেননি। আশঙ্কা বাড়ছে, শ্বাসকষ্টে এবার ধীরে ধীরে প্রাণ যাবে কুমিরের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৪ কিলোমিটার বরফের রাস্তা হেঁটে বিয়ের আসরে যুবক, প্রেমের জোয়ারে ভাসছে নেটদুনিয়া]

বাধ্য হয়েই অন্য জায়গা থেকে এবিষয়ে অভিজ্ঞ লোকজন খুঁজতে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সুলাওয়েসি প্রশাসন। কুমিরের গলা থেকে টায়ার খুলতে পারলেই মিলবে ইনাম। তবে কত টাকা, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে যে সে কুমিরের গলা থেকে টায়ার খোলার জন্য এগিয়ে এলেই চলবে না। এমন অসহায় অবস্থায় কুমিরটি আরও হিংস্র আচরণ করতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই এদের সামলাতে দক্ষ কাউকেই কাজটির দিতে চায় প্রশাসন। নচেৎ বিপাকে পড়তে পারেন উদ্ধারকারী নিজেই। বিজ্ঞাপনে সেটা স্পষ্ট করেই লেখা আছে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সুলাওয়েসির প্রকৃতি সংরক্ষকরা বলছেন, কেউ যেন সমুদ্রের ধারে কুমিরটির কাছাকাছি না যায়। গলায় টায়ার আটকে বিধ্বস্ত কুমির হামলা চালাতেই পারে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে স্টিভ আরউইনের কথা। হিংস্র প্রাণীদের সঙ্গে সহজে বন্ধুত্ব করে ফেলা সেই অস্ট্রেলিয়ান থাকলে হয়ত সুলাওয়েসির কুমিরকে সহজেই মুক্তি দিতেন টায়ারের যন্ত্রণা থেকে!

[আরও পড়ুন: শত প্রলোভন উপেক্ষা! বিরল প্রজাতির হাঙরকে সমুদ্রে ফিরিয়ে প্রশংসিত মৎস্যজীবীর দল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ