সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলু খাগড়ার প্রাণ যায়। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ যেন সেই প্রচলিত প্রবাদকেই বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে। রাজনীতির খেলায় সাধারণ মানুষ যে নিছকই ঘুঁটি তা ইউক্রেনের দিকে তাকালেই স্পষ্ট। বাদ পড়ছে না শিশুরাও। ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শেখা চোখে যুদ্ধের ধ্বংসলীলা যেন আতঙ্ক জাগিয়ে তুলছে তাদের মনে। চোখে মুখে একটাই প্রশ্ন, এ যুদ্ধ থামবে কবে?
বহু মানুষ প্রাণরক্ষার জন্য সাধ করে বানানো নিজের বাড়ি ছাড়ছেন। হারিয়েছেন প্রিয় মানুষ। দেশ ছাড়ছেন। শরণার্থী হয়ে নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন। ঠিক যেমন, ১১ বছর বয়সি ইউক্রেনের ছেলেটি। কিছু না বুঝেই রাতের অন্ধকারে ঘর, বাড়ি, মা-বাবাকে ছেড়ে হাজির হয়েছে স্লোভাকিয়ার সীমান্তে। পিঠে তাঁর ছোট্ট একটা ব্যাগ আর হাতের উপর লেখা একটা ফোন নম্বর।
স্লোভাকিয়ার সীমান্তরক্ষীরা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেই এই ছেলেটির ছবি দিয়ে পুরো ঘটনার উল্লেখ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ১১ বছরের ছেলেটির মা-বাবা ইউক্রেনেই থেকে যান। আর ছেলেকে বলেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে। মা-বাবার কথা ফেলতে পারেনি ছোট্ট ছেলেটি। ছলছল চোখে মাঝরাতে জাপরজাই থেকে স্লোভাকিয়ার সীমান্তে এসে হাজির হয় ছেলেটি। সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, ছেলেটির হাতে লেখা ফোন নাম্বারে ফোন করেই আত্মীয়দের ডেকে আনা হয়। নাবালককে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। রক্ষীদের কথায়, ছেলেটির মায়া মাখানো হাসি ভোলা খুব কঠিন।
বারো দিনে পা দিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia-Ukraine War) যুদ্ধ। দেশের নানা প্রান্ত তছনছ হয়ে গিয়েছে রুশ হামলায়। ইউক্রেনের (Ukraine) বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করার জন্য আজ তৃতীয় বারের মতো সাময়িক যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) ঘোষণা করে রাশিয়া। ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে তিন ঘন্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অনুরোধেই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.