Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

সালিশি সভায় কিশোরীর রূপে মুগ্ধ, প্রেমিককে হটিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বৃদ্ধ চেয়ারম্যান!

রাগে-দুঃখে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রেমিকের।

Old man marries teenager after she has been brought to him for judgement of her love life
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 27, 2021 7:28 pm
  • Updated:May 24, 2023 6:01 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: জামাইকে পছন্দ হয়নি মেয়ের বাবার। তাই তিনি মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি নন। কিন্তু মেয়ে তো নাছোড়বান্দা। প্রেমিক রমজানকেই তার চাই। মেয়ের প্রেমের এই জটিলতা কাটাতে সালিশি সভার আয়োজন করেন বাবা। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের (UP) চেয়ারম্যানের অফিস চুনারপুল বাজারে বসে সালিশি সভা। সেখানেই মেয়ে এবং তার প্রেমিককে নিয়ে হাজির হন বাবা। কিন্তু বৃদ্ধ চেয়ারম্যান বিচার করবেন কী? কিশোরী মেয়ের রূপে তিনি মুগ্ধ। নিজের বিয়ে করে ফেললেন নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে! ঘটনায় হতবাক উপস্থিত সকলেই।

বাংলাদেশের নারায়ণপাশা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী নছিমন আক্তার নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য বেঁকে বসেছিল। কিন্তু বাবার একেবারেই পছন্দ নয়। তাই সালিশি সভা বসিয়ে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চেয়ে আরেক বিপদে পড়লেন বাবা। মেয়েকে দেখেই পছন্দ হয়ে যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের। প্রেমিককে হটিয়ে তিনি পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরে নিজেই কিশোরীকে বিয়ে (Marriage) করেন। কিন্তু বিয়ের পরপরই লোকজনের সমালোচনা ও আইনের ফাঁসে জড়ানোর ভয়ে তালাকের সিদ্ধান্ত নেন। সুযোগ বুঝে ওই কিশোরীও বৃদ্ধ চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরে যায়। চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের সঙ্গে মেয়ের তালাক সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কিশোরীর বাবা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: খাওয়া থেকে ঘুম, সবই একসঙ্গে! শালিক-মানুষের ভালবাসার বন্ধনে তাজ্জব প্রতিবেশীরা]

বৃদ্ধ চেয়ারম্যানের এই কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাতেই তালাকের সিদ্ধান্ত নেন শাহিন। যে কাজির মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল, শনিবার তার মাধ্যমেই চেয়ারম্যান শাহিন ও ওই কিশোরীর তালাক সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান,‘‘মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। এছাড়া আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল।” বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত নন, বরং আনন্দিত, তাও জানিয়েছেন। দুই সন্তানের বাবা চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ওই কিশোরী তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় পরে তালাকের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: OMG! করোনা টিকা নেওয়ার ভয়ে গাছের মগডালে উঠে গেলেন এক ব্যক্তি]

অন্যদিকে, প্রেমিকাকে এক বৃদ্ধ বিয়ে করায় ক্ষোভে-দুঃখে প্রেমিক রমজান বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (Attemp to suicide) চেষ্টা করে। পরে তাকে বাউফল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে। এর আগে বিয়ের ব্যাপারে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, ”বাল্যবিয়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ