সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আজব ঘটনার সাক্ষী হল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) শক্তিগড়। মাঝপথে বাসের টায়ার ফেটে যায়। কিন্তু তা সারাতে বা বিকল্প বাসের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেয়নি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা। ঘণ্টা দেড়েক পর নিজেরাই চাঁদা তুলে বাসের ফাটা টায়ার সারিয়ে গন্তব্যে রওনা দিলেন যাত্রীরা। যদিও পরে বাস কন্ডাক্টর টায়ার সারানোর খরচ যাত্রীদের ফেরত দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। টায়ার ফাটা সত্বেও সরকারি সংস্থা যাত্রীদের জন্য বিকল্প বাসের ব্যবস্থা কেন করল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দুর্গাপুর থেকে করুণাময়ী যাচ্ছিল বাসটি। শক্তিগড়ের আমড়ায় ল্যাংচার দোকানের কাছে স্টপেজে দাঁড়ায় বাসটি। ওই সময় প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীরা টিফিন সেরে বাসে ওঠার পরেই ঘটে বিপত্তি। বাসের পিছনের ডানদিকের একটি সশব্দে টায়ার ফেটে যায়। মাঝপথে এমন ঘটনায় চিন্তায় পড়েন যাত্রীরা। বাসের চালক ও কন্ডাক্টর নিয়মমতো সংস্থার ডিপোয় যোগাযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও বিকল্প ব্যবস্থা হয়নি।
সাধারণত কোনও বাসে যান্ত্রিক গোলযোগ হলে কাছের ডিপো থেকে বাস পাঠানো হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বাসে স্টেপনি থাকার কথা ছিল। যা সঙ্গে নিতে ভুলে গিয়েছিলেন চালক। ফলে বাস পাঠানোর ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত জটিলতা দেখা দেয়। তা মিটিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার আগেই যাত্রীরা চাঁদা তুলে ১২০০ টাকা খরচ করে টায়ার সারিয়ে ফেলেন। সংস্থার চেয়ারম্যান বিষয়টি জানার পর যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডলের সাফাই, “বাসের চালক স্টেপনি বা অতিরিক্ত টায়ার বাসে তুলতে ভুলে গিয়েছিলেন। তার ফলেই সমস্যা হয়েছিল। ওই চালককে সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া যাত্রীরা সময় না দিয়েই টায়ার সারানোর ব্যবস্থা করে ফেলেন। কিছুটা তো সময় দিতে হয় আমাদের। যদিও কন্ডাক্টর খরচের টাকা ফেরত দিয়েছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.