Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঁদর-বিরিয়ানি

সুন্দরবনে খাদ্যাভাসে আজব বদল, ফল-মূল ছেড়ে বিরিয়ানি খাচ্ছে বাঁদররা!

নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন পর্যটকরা।

Sundarban Monkeys eating Biryani, environmentalist seeing danger
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 4, 2019 5:46 pm
  • Updated:November 4, 2019 5:47 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মানুষ অভ্যাসের দাস। বন্যপ্রাণী বাঁদরও! ফল-পাতা ছেড়ে এখন তারা বিরিয়ানি খেতে অভ্যস্ত! বিশ্বাস না হওয়ারই কথা।

জঙ্গলে ঘুরে গাছের ফল পাতা খাওয়াই যাদের কাজ, সেই বাঁদর কুল এখন আর ফল-পাতায় তেমন উৎসাহ দেখাচ্ছে না। বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রের আশপাশে থাকা বাঁদরদের খাদ্যাভ্যাসে ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আর তাই প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। এমনই ছবি দেখা গেল সুন্দরবনের সজনেখালি বা ঝড়খালির পর্যটন কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায়। বিস্কুটের প্যাকেট, বিরিয়ানি চিপসের প্যাকেট থেকে শুরু করে ঠান্ডা পানীয়- সব খাবার এখন তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে! আর তাই জঙ্গল থেকে লাফিয়ে পর্যটকদের ভুটভুটি বা লঞ্চ জেটিতে চলে আসছে বাঁদরের দল।

Advertisement

Monkey

তবে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন একদিনে হয়নি। দিনের পর দিন প্যাকেটজাত খাদ্য মুখের সামনে পাওয়ার ফলেই বাঁদর কুলে এই বদল এসেছে। কিন্তু বাঁদরের অভ্যেস বদলে আখেরে বিপদেই পড়ছেন পর্যটকরা। কারণ সুযোগ পেলেই  তাঁদের হাতের খাবার কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে বাঁদরের দল। কাশী, বৃন্দাবন, কোণারক, তারাপীঠের বাঁদররা পর্যটকদের কাছ থেকে কলাটা মুলোটা ছিনিয়ে নেওয়ায় বিশেষ নাম কুড়িয়েছে। এবার তালিকায় ঢুকল সুন্দরবন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গ্যাস ভরতি ট্যাঙ্কারে ধাক্কা গাড়ির, দুর্ঘটনায় মৃত্যু জাপানি দূতাবাসের চালকের]

সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যের খাবারের অভাব কোনওদিনই ছিল না। আজও নেই। তবুও দেখা যাচ্ছে কোথাও যেন ঘটেছে ছন্দপতন। এ বিষয়ে এক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ বলছেন, জঙ্গলে খাবারের অভাব নেই। বিশেষ করে বাঁদররা যেসব খাবার খায় সেগুলো তো যথেষ্ট পরিমাণে আছে। অন্যদিকে কেওড়া হেতাল গাছের শ্বাসমূল ঠেসমূল এই সবই বাঁদরদের খাবারের তালিকা রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাঁদররা মানুষের খাবারের বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে সজনেখালিতে গিয়ে দেখা গেল, ফেলে যাওয়া বিরিয়ানির প্যাকেটের দিকে নজর বাঁদরদের। মা এবং বাচ্চা বাঁদর চেটেপুটে খাচ্ছে সেই বিরিয়ানির প্যাকেট। এমনকী ঢুকে পড়ছে ডাস্টবিনের মধ্যেও। অনেকেই মনে করছেন খেলাচ্ছলে পর্যটকদের দেওয়া খাবার বাঁদরদের জঙ্গল ছাড়ার প্রধান কারণ। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় বনদপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা। কারণ বাঁদরের বাঁদরামি সহ্য করতে না পারলে কামড় খেতে হচ্ছে পর্যটকদের।

এ বিষয়ে ডব্লিউ ডব্লিউ এফের বাঁদর বিশেষজ্ঞ ডক্টর সঙ্গীতা মিত্র বলেন, সহজলভ্য খাবার পেতে পেতে বাঁদর শুধু খাবারের অভ্যেস বদলায়নি, সেই সঙ্গে নিজেদের বিপদও ডেকে আনছে। এর ফলে বাঁদর এবং মানুষ উভয়েই সমস্যায় পড়ছে। কারণ খাবার না পেলে তারা আঁচড় কামড় দিয়ে আক্রমণ করছে পর্যটকদের। ফলে বাঁদরের থেকে মানুষের মধ্যে নানা অসুখ ছড়িয়ে পড়ছে। আবার উলটোটাও হচ্ছে। পরিবেশবিদদের মতে, পর্যটকরাই মূলত সুন্দরবন এসে বাঁদরদের খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। তবে এটি শুধু সুন্দরবনের নয়, গোটা দেশের সমস্যা।

[আরও পড়ুন: ৩০ বছর ধরে রোজ নববধূ সাজেন এই বৃদ্ধ! কারণ জানলে অবাক হবেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ