সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাংস ভাগাড়ের। মাছে ফরমালিন। জোড়া হামলায় বাঙালির হেঁশেলের হাঁসফাঁস অবস্থা। মাংস নাহয় সরিয়ে রাখা গেল, কিন্তু মাছে-ভাতে বাঙালি, মাছ ছাড়বে কী করে? ছাড়ার প্রশ্ন নেই। তবে আতঙ্কও যাচ্ছে না। যদিও বিভিন্ন জায়গায় নমুনা পরীক্ষায় শহরের মাছে ফরমালিন মেলেনি। তবে এই আতঙ্কের পরিবেশ শুধু বাংলায় নয়, কেরল, গোয়া-সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়েছে। তাই সামগ্রিকভাবে মাছে ফরমালিন ধরতেই বিশেষ এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।
[ মাছে মিশছে দেদার ফরম্যালিন, টাটকা মাছ চিনবেন কীভাবে? ]
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজি বেশ কিছুদিন আগেই কেরলের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট্রের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানেই একটি ছোট্ট ‘কিট’ বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গবেষকরা ইতিমধ্যে তা তৈরি করেও ফেলেছেন। কী থাকবে এই কিটে? আসল কাজ করবে একটি রাসায়নিকযুক্ত পাতলা কাগজ। সঙ্গে থাকবে রিজেন্ট সলিউশন ও একটি ড্রপার। প্রথমে মাছের গায়ে ওই পাতলা রাসায়নিকযুক্ত কাগজটি বারকয়েক ঘষে নিতে হবে। তারপর ড্রপারে করে কাগজটিতে এক ফোঁটা রিজেন্ট সলিউশন ফেলতে হবে। যদি মাছে ফরম্যালডিহাইড থাকে, তবে হালকা হলুদ রঙের কাগজটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে রং পালটে ফিকে সবুজ হয়ে যাবে। ফরমালিনের মাত্রা বেশি হলে রং পালটে তা নীল হয়ে যাবে। ফলে সহজেই বোঝা যাবে মাছে ফরম্যালিন আছে কি না। এছাড়া অ্যামোনিয়ার উপস্থিতিও এই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নেওয়া যাবে।
[ সন্তান ধারণে সমস্যা? নেপথ্যে এই পাঁচটি কারণ নয় তো? ]
গবেষণাগারে এরকম এক একটা কিট তৈরিতে খরচ পড়ছে ২ টাকা। তবে বাজারে এলে তার মূল্য কী হবে তা এখনও নির্ধারিত নয়। যেহেতু ফরমালিন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে, তাই এই কিট আগামী মাসেই বাজারে আসতে চলেছে বলে বাড়ছে জল্পনা।