সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা কলাও যে মানুষের রাতের ঘুম ওড়াতে পারে, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন!
করোনা মহামারির জেরে প্রায় দু’মাস ধরে গৃহবন্দি জীবন। একটা অদৃশ্য ভাইরাসের চোখ রাঙানিতে বদলে গিয়েছে মানুষের জীবনধারণের সমস্ত অভ্যেস। বাড়ি বসে অনেকেই ফের অফিস যাওয়ার দিন গুনছেন। সঙ্গে মনে করার চেষ্টা করছেন কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজ কিংবা মূল্যবান জিনিস ভুল করে কর্মক্ষেত্রে ফেলে আসেননি তো। এভাবেই চিন্তার সাগরে ডুব দিয়েছিলেন ব্রিটেনের গ্লাসগোর এমএল ব্রেনান। তবে তাঁর যা মনে পড়ল, শুনলে অবাকই হবেন। অফিসে নিজের ডেস্কের ড্রয়ারে কলা ফেলে এসেছেন তিনি। যা ৯ সপ্তাহ ধরে পচছে। সেই কলা উদ্ধার করতে সোজা অফিস ছুটলেন মহিলা।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। অনেকে বাড়ি থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার আগে গিজারের সুইচ নেভাতে ভুলে যান। কিংবা মনে পড়ে না ওই ঘরের ওই দিকের জানলাটা ঠিক মতো দেওয়া হয়েছিল কি না। লকডাউনের জেরে সেসব চিন্তা আপাতত কুলুঙ্গিতে তোলা। কিন্তু অফিস বন্ধ থাকায় ছবিটা উলটো। অফিসে কিছু ফেলে রাখলে পরের দিনই গিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ব্রেনান। লকডাউন শুরুর আগের দিন শেষবার অফিসে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে বাড়িতেই রয়েছেন। গত ১২ মে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎই মনে পড়ে যায় অফিসের ডেস্কের ড্রয়ারে একটা কলা ফেলে এসেছেন তিনি।
টুইটারে সে কথা সকলকে জানানও ব্রেনান। লেখেন, “এখন মনে পড়ল যে অনেকদিন ধরে একটা কলা আমার ড্রয়ারে পচছে। ভেবেই উত্তেজিত হয়ে পড়লাম।” আসলে সেই ড্রয়ারে তাঁর নানা প্রয়োজনীয় পথিপত্র ছিল। পচা কলার কবলে সেসব নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। তাই আর বিলম্ব না করে গাড়ি নিয়ে সোজা অফিস ছোটেন। সফলভাবেই শেষ হয় তাঁর ‘কলা উদ্ধার অভিযান’।
সেই সুখবরও টিকটকে ভিডিও করে জানান ব্রেনান। লেখেন, “কতখানি কী নষ্ট হবে, সেই ভয়ই পাচ্ছিলাম। তাই অফিস গিয়ে কলা উদ্ধার করি। এই সেই ৯ সপ্তাহ পুরনো কলা।” লকডাউনের মধ্যেও শুধুমাত্র কলা উদ্ধার করতেও যে কেউ অফিস যেতে পারেন, অনেকে এখনও যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। আপনি এমন কিছু কর্মক্ষেত্রে ফেলে আসেননি তো? ভেবে দেখুন!
@mlcoolj2 left a banana in my work drawer a week before lockdown. was losing sleep over it so I’ve came in to rescue it. ##fyp ##quarantine ##lockdown ##banana
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.