Advertisement
Advertisement

Breaking News

Panchayat Vote 2023

Panchayat Vote 2023: জনতার বিক্ষোভ, গ্রামে গিয়ে গো-ব্যাক স্লোগান শুনে ফিরলেন বিজেপি নেতারা

'শান্তিতেই ভোট হয়েছে', তৃণমূলের পতাকা হাতে বললেন গ্রামবাসীরা।

Panchayat Vote 2023: Go Back slogan raised to BJP leaders in a village at Mayureswar, Birbhum | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 9, 2023 4:54 pm
  • Updated:July 9, 2023 4:54 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভোট শেষ হওয়ার পর গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি (BJP) নেতারা। গো-ব্যাক স্লোগান শুনে ফিরতে হল তাঁদের। বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বরের একটি বুথে শনিবার ভোট চলাকালীন হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ তুলে রবিবার তার ‘তদন্তে’ যান বিজেপির নেতারা। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল এদিন দুপুরে এলাকায় যান। তাঁদের ঘিরে ধরে, গো-ব্যাক (Go back) স্লোগান তুলে কার্যত তাড়িয়ে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের হাতে ছিল তৃণমূলের পতাকা। অভিযোগ তোলেন, বিজেপি নেতারা গ্রামে অশান্তি ছড়াতে গিয়েছেন।

রবিবার দুপুর নাগাদ ময়ূরেশ্বরে (Mayureswar) ১৬০ নম্বর বুথে ওই গ্রামে যান বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এলাকার বাসিন্দা হারাধন হাজরা জানান, ”১৬০ নম্বর বুথে শনিবার পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কিন্তু ভোট শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপূর্ব লেট ও মিঠুন লেট নামে দুই তৃণমূল কর্মীর উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালানো হয়। আমরা সে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। তারই মাঝে বিজেপির নেতারা কালীতলা থেকে পরিকল্পিতভাবে গ্রামে অশান্তি লাগাতে এসেছে। তাই পাড়ার মহিলারা বিজেপি নেতাদের গো-ব্যাক স্লোগান দিয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বহুতলের সিঁড়ি, আটকে কমপক্ষে ৫৪ বাসিন্দা, চাঞ্চল্য কলকাতায়]

অপূর্বর স্ত্রী মল্লিকা লেট বলেন, ”আমার স্বামী অপূর্ব লেটকে খুন করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। পারেনি। তাই আজ আবার এসেছে। আমার ছেলেমেয়েদের কে দেখবে?” যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল জানান, ”কালীতলা পাড়ায় আমাদের কর্মীদের মেরেছে। আমাদের মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয়দার কাছে খবর পেয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখনও তৃণমূলের কর্মীদের রুদ্রমূর্তি দেখে ফিরে এলাম। রাজ্য সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল জানান, ”যে যে বুথে প্রশাসনিক সাহায্যে ছাপ্পা মেরেছে, সেখানেই অশান্তি হয়েছে। আমরা দু’মাস আগে থেকে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তারপরেও ছাপ্পা হল।” তবু জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী। তবে বিক্ষোভের পরে রাজ্য কমিটির সদস্যরা ময়ূরেশ্বর থানায় গিয়ে পুলিশের সাহায্য চান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হিংসায় আক্রান্ত শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই, মানুষের ‘প্রতিরোধে’ আশা দেখছে বাম-কংগ্রেস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ