Advertisement
Advertisement
Panchayat Vote 2023

Panchayat Vote 2023: রাজনীতির যুদ্ধে বিশেষভাবে সক্ষম যুবক, গ্রাম পঞ্চায়েতে TMC প্রার্থী পুরুলিয়ার ‘সব্যসাচী’

ঘাসফুলের ঝান্ডা হাতে অন্য লড়াইয়ের অঙ্ক কষছেন সব্যসাচী।

Panchayat Vote 2023: Specially abled youth in the battle of politics, Sabyasachi of Purulia is the TMC candidate for Gram Panchayat | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 16, 2023 7:20 pm
  • Updated:June 16, 2023 8:11 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আক্ষরিক অর্থেই সব্যসাচী। তাঁর দুই হাত সমান তালেই চলে। কিন্তু তিনি বিশেষভাবে সক্ষম (Specially abled) যুবক। তাই হাতে-পায়ে ভর করে এগিয়ে যান। এগিয়ে যান জীবন যুদ্ধে। আর এবার জীবনযুদ্ধে লড়াই করা বিশেষভাবে সক্ষম ওই যুবক রাজনীতির ময়দানে অন্য লড়াইয়ে পা বাড়িয়েছেন। সব্যসাচী বাউরি। বাড়ি পুরুলিয়ার (Purulia) কাশীপুর ব্লকের বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধূলপাহাড়ি গ্রামে। বছর তিরিশের এই যুবক গত ১০ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কর্মী। বলা যায়, দল অন্তপ্রাণ। তাই প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই কাশীপুর ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমতিক্রমে বিশেষভাবে সক্ষম ওই সব্যসাচী বাউরিকে চাপড়ি সংসদ থেকে প্রার্থী করেছে শাসকদল তৃণমূল।

মনোনয়ন জমা করে গ্রামে ফিরে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা শোনালেন সব্যসাচী বাউরি। বললেন, “এলাকার মানুষজন সবাই আমাকে ভীষণ ভালবাসেন। সেই কারণেই দলের অঞ্চল নেতৃত্ব আমাকে প্রার্থী করেছে। আমার আশা, জয়লাভ করে এই এলাকায় দলকে আরও শক্তিশালী করব। মনে যখন কোনও বাধা থাকে না তখন শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও পিছু হঠে।” কিন্তু নির্বাচনের টানা প্রচার
প্রতিবন্ধক হয়ে যাবে না তো? সব্যসাচী সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “আমার একটা ট্রাই সাইকেল রয়েছে। হাতে,পায়ে ভর দিয়ে আমি ভালভাবেই যাতায়াত করতে পারি। তাই বাড়ি বাড়ি প্রচারে কোনও অসুবিধা হবে না। আর এলাকার মানুষ আমাকে সবাই চেনেন। তাঁরাই তো আমাকে প্রার্থী করলেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের জেরে ধাক্কা ইলিশ শিকারে, ভোটের হাওয়ায় থমকাচ্ছে ট্রলার]

বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ভোটদানে আলাদা সুবিধা রয়েছে কমিশনের। কিন্তু এই সক্ষমরাই যে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় ভোট যুদ্ধের শরিক হবেন। এমন উদাহরণ বোধ হয় সচরাচর দেখা যায় না। তাই পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রের উৎসবে সব্যসাচীকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী করে আমরা সেই বার্তায় দিয়েছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দলের রোষে কেরলের বামপন্থী নেতা, খোয়ালেন সব পদ]

অর্থাভাবে নবম শ্রেণির পর আর পড়া হয়নি সব্যসাচীর। এখন সারাদিন দলের কাজেই ব্যস্ত থাকেন। বাবা-মা ও চার ভাই নিয়ে সংসার। বিয়ে হয়ে গিয়েছে দুই বোনের। মূলত দিনমজুরি করেই সংসার সামলান সব্যসাচীর বাবা। পেটের টানে তিন ভাই পরিযায়ী। এহেন অভাবের সংসারে ঘাসফুলের ঝান্ডা হাতে অন্য লড়াইয়ের অঙ্ক কষছেন সব্যসাচী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ