Advertisement
Advertisement
Personal Finance

নিতে হবে লগ্নির পাঠ, কুঁড়িতেই হোক স্বাবলম্বিতার হাতেখড়ি

ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘ক্যাচ দেম ইয়ং’। এক্ষেত্রেও তা সত্যি।

Financial literacy must for young generation | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 18, 2022 1:33 pm
  • Updated:August 18, 2022 1:33 pm  

‘ক‌্যাচ দেম ইয়ং’। এই আপ্তবাক‌্য বিনিয়োগের দুনিয়াতেও প্রযোজ‌্য। ছোট থেকেই যদি মেলে অর্থের সঠিক মূল‌্যায়নের শিক্ষা, তবে ভবিষ‌্যতে এই ‘ফাইন‌্যান্সিয়াল লিটারেসি’র পাঠই আপনাকে রাখবে আর পাঁচজনের থেকে অনেকটা এগিয়ে। কলমে চন্দ্রশেখর ঘোষ, এমডি-সিইও, বন্ধন ব্যাংক

ফাইন‌্যান্সিয়াল ফ্রিডম বলতে আমরা কী বুঝি? আর ঠিক কোন সময়ে বা বয়সে এই স্বাধীনতা সমস্ত স্তরের মানুষের অর্জন করা উচিত? ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘ক্যাচ দেম ইয়ং’। এক্ষেত্রেও তা সত্যি। একজন ছেলে বা মেয়ের শৈশব থেকেই অর্থের মূল্যায়ন আর তা সঠিক পদ্ধতিতে পরিকল্পনা করে আগামিদিনের জন্য সঞ্চয়ের শিক্ষা প্রাপ্তির প্রয়োজন আছে। প্রত্যেক অভিভাবকের কর্তব্য, যে তাঁর সব সময় তাঁদের সন্তানদের মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতারও গুরুত্ব বোঝান। তাই সবার আগে যেটা দরকার, তা হল ছোট থেকেই সঞ্চয়ের অভ্যেস করানো। সন্তান-সন্ততিদের বয়স অল্প থাকতে থাকতেই তাদের আর্থিক সচেতনতার পাঠ দেওয়া প্রয়োজন, যাতে বড় হয়ে তারা সঞ্চয়, পরিমিত ব্যয় এবং সর্বোপরি অর্থের সদ্ব্যবহার শিখতে পারে। এই সব কিছুই তাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে আর্থিক স্বাধীনতার ও স্বাবলম্বিতার পথে।

Advertisement

সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাধীন করে তোলার প্রথম ধাপ হল ‘ফাইন‌্যান্সিয়াল লিটারেসি’, অর্থাৎ আর্থিক সাক্ষরতা এবং সচেতনতা। বন্ধন ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের মহিলাদের ক্ষমতায়ন করছে এবং তাদের আর্থিক ভাবে সচেতন, শিক্ষিত ও স্বয়ংসিদ্ধা করে তুলছে। আজ তাঁরা নিজেরা রোজগার করছেন, সংসারের আয়-ব্যয়ের হিসেব রাখছেন, সুবিধামতো সঞ্চয় করছেন, পরিবারের সহায়ক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আর সবথেকে জরুরি বিষয় হল-তাঁরা পরিণত হয়েছেন যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিতে। আগে ছেলেমেয়েদের আবদারে, মায়েরা বাবাদের থেকে চেয়ে টাকা পয়সা এনে দিতেন। এখনকার বেশিরভাগ মানুষ স্বনির্ভর। তাঁরা নিজেরা নিজেদের ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে ছেলেমেয়েদের প্রয়োজনে টাকা পয়সার যোগান দিতে পারেন। কারও কাছে চাইতে হয় না। এই সব মিলিয়েই তো আর্থিক সক্ষমতা ও স্বাধীনতা।

[আরও পড়ুন: একাধিক গাড়ির জন্য এক পলিসি, মুশকিল আসান করল আইসিআইসিআই লম্বার্ড]

ফাইন‌্যান্সিয়াল ফ্রিডম বা আর্থিক স্বাধীনতা লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত হল আর্থিক সঙ্গতি। সাধারণ মানুষের রোজগারের পথ যত তৈরি হবে, দৈনন্দিন খরচ বাঁচিয়ে, সঞ্চয় ও নিবেশের অভ্যাস যত তৈরি হবে, ততই মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা বাড়বে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে জন-ধন যোজনা বা অন্যান্য আর্থিক যোজনার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে আর্থিকভাবে সক্ষম করে তোলার প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে, তার ফলে মানুষের মধ্যে আর্থিক সচেতনতা বাড়ছে। আর তার থেকেই তৈরি হচ্ছে আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।

দেশ স্বাধীন হবার পর ৭৫ বছর কেটে গিয়েছে। মাত্র কয়েক বছর হল সমাজের পিছিয়ে পড়া স্তরের মানুষদের ব্যাঙ্কিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে ও ব্যাংকগুলি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির (Financial Inclusion) উপর জোর দিচ্ছে। সবাইকে সঞ্চয়ের গুনাগুণ শেখানো হচ্ছে, ঋণ নেওয়া টাকা কিভাবে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা যায়, তার পথ দেখানো হচ্ছে। যদিও এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি।

[আরও পড়ুন: পাতা রয়েছে ফাঁদ, সন্দেহজনক QR Code স্ক্যান করবেন না]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement