প্রতীকী ছবি
স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্টস, এক কথায় বলতে গেলে, একটি ‘ইমার্জিং’ ধারণা – খুব বেশি দিন হয়নি এগুলোর জনপ্রিয়তার নিরিখে। তবে ইদানীং নানা ধরনের বিকল্প এসেছে, স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্টস নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। উদাহরণ-সহ তারই আলোচনা করা হবে।
রিটার্ন বাড়িয়ে তোলার কৌশল, মেপেজুখে রিস্ক নিয়ে চলে। বিষয়টি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে লগ্নিকারীরা। আর পেশাদার সংস্থাও বিভিন্ন স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্ট নিয়ে তাঁদের লক্ষ্যভেদ করতে সাহায্য করছে। স্রেফ উদাহরণ হিসাবে Edelweiss-এর দুটি প্রোডাক্ট নিয়ে বলছি।
lNifty 50 – All Weather Equity
lNifty 50 – Twin Win
Nifty 50 – All Weather Equity:
১. সাড়ে তিন বছরের টাইম হোরাইজন থাকতে হবে।
২. Nifty যদি ১০% অ্যাবসোলিউট রিটার্ন আনতে পারে তিন বছরে, তাহলে এই পোর্টফোলিওর শর্তসাপেক্ষ হিসাবে ৫০% রিটার্ন আনতে পারবে।
৩. যদি তিন বছরে সূচক পড়েও যায়, তাহলেও ‘প্রিন্সিপাল প্রোটেকশনের’ সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারী।
৪. Edelweiss-এর মতে গত কয়েক বছরে এই পোর্টফোলিওতে বেশি রিটার্ন পেয়েছেন গ্রাহকরা নিফটির তুলনায়।
এখানে যে কথাগুলো মনে রাখতে হবে :
(ক) এটি আনলিস্টেড – অর্থাৎ চাইলেই বিক্রি করে বেরিয়ে যেতে পারবেন না লগ্নিকারী।
(খ) প্রিন্সিপাল সুরক্ষার শর্তগুলো জেনে নিতে হবে নির্দিষ্টভাবে।
(গ) তিন ধরনের রিটার্নের সম্ভাবনা :
(১) যদি নিফটি ০-১০% দেয় তাহলে পাঁচ গুণ
(২) যদি নিফটি ১০% বা তার বেশি দেয়, তাহলে ৫০% অ্যাবসোলিউট।
(৩) যদি নিফটি কমে যায় (অর্থাৎ নেগেটিভ রিটার্ন দেয়) তাহলে কেবল ফেস ভ্যালু পাওয়া যাবে।
Nifty 50- Twin Win
১. নির্দিষ্ট রিটার্ন পাবেন লগ্নিকারী ৬%। তা পাওয়া যাবে ম্যাচুরিটির সময়। তাই প্রিন্সিপাল সুরক্ষিত থাকবেই।
২. যদি নিফটি শূন্যের কম দেয় (নেগেটিভ), তাহলেও তিন বছরে প্রিন্সিপাল পাওয়া সম্ভব হবে।
৩. Twin Win হয় ৬% অথবা নিফটি-ভিত্তিক রিটার্ন দেবেই, প্রতিশ্রুতভাবে এই তিন বছরে।
৪. এক্ষেত্রে সংস্থার মতে ইন্টারেস্ট রেট সংক্রান্ত রিস্ক নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। লগ্নির ক্ষেত্রে ভ্যালুয়েশনের উপর সুদের ওঠা-পড়া ছাপ ফেলে দেবে অবশ্যই। তাই ‘মার্ক-টু-মার্কেট’ লস হওয়া অসম্ভব নয়। এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোনও লিকুইডিটির সুযোগ থাকবে না। পুরো সময়সীমা না শেষ হওয়া পর্যন্ত লগ্নি রাখতেই হবে গ্রাহকদের।
সঞ্চয়-এর সংযোজন–
Edelweiss-কে কেবল দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখতে হবে আমাদের পাঠকদের। ভারতীয় লগ্নির একাংশ ‘মার্কেট লিঙ্কড ডেবেঞ্চার’ (Market Linked Debenture, সংক্ষেপে MLD) হিসাবেও পাওয়া যাচ্ছে। ইক্যুইটি এবং ডেট, দুই অ্যাসেট ক্লাসেই বিনিয়োগ করা হয়, এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তৃপক্ষ তাঁদের কৌশল আগেই জানিয়ে রাখেন। তাই পুরো পদ্ধতি স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয় বলে তাঁরা জানান। নিজের রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে লগ্নিকারীরা এই জাতীয় স্ট্রাকচার্ড প্রোডাক্ট কেনার কথা ভাবতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে একেবারে রিটেল লগ্নিকারীর জন্য এই জাতীয় বিকল্প নেই, তাই যেন যথেষ্ট সম্পদ হাতে থাকে। ন্যূনতম লগ্নির পরিমাণ উঁচুর দিকে, এবং লক-ইনও সহ্য করতে হবে। এই দুই শর্তই খুব জরুরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.