সোনার মতো রুপোতেও লগ্নিতে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এই ধাতুটিকে পোর্টফোলিওর আওতাভুক্ত করুন, লাভেই থাকবেন। আশ্বাস দিচ্ছেন অঞ্জন দাস
সিলভার তথা রুপো নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাজের সুবাদে বলতে পারি রুপোর বাজারে কেনাকাটির নতুন পদ্ধতি সবসময়ই স্বাগত। তবে কিছু শর্ত মানা না হলে সাধারণ লগ্নিকারী অসুবিধায় পড়তে পারেন।
যে কোনও নিয়ন্ত্রিত বাজারের প্রথম লক্ষ্য হল transparency বা স্বচ্ছতা। দাম নির্ধারণের ব্যাপারে সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা থাকতেই হবে, না হলে ইতিবাচক নিয়মনীতির অনেক উদ্দেশ্যই অধরা থেকে যাবে এবং সার্বিক ভাবে আমরা যাকে ‘malpractices’ বলি, সেই সমস্ত কিছু শুরু হবে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীর সমস্ত অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে, কোনও প্রকারে লঙ্ঘিত হলে যেন সুরাহার যথাযত উপায় মজুত থাকে।
ইটিএফ যখন গোল্ডে ইতিমধ্যেই এসেছে, মানুষ লগ্নিও করছেন, তখন সিলভারে তা না হওয়ার কোনও কারণ নেই। নতুন প্রজন্ম হয়ত ইটিএফের মাধ্যমেই কেবল এই ধরণের কমোডিটিতে বিনিয়োগ করবে, তাতেই বেশি সুবিধা পাবে বলে। কীভাবে বা কত দ্রুত এই বদল আসবে তা এই মুহুর্তে ঠিক বলতে পারব না। আগে শুরু হোক, তারপরই ট্রেন্ড দেখে প্রাথমিক আন্দাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে লগ্নির পরিমাণে অগ্রগতি বিলক্ষণ দেখতে পাব বলেই আমার ধারণা। ট্রেডিং ভলিউম বাড়বে, স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, তাও বলা যায়।
সিলভার ট্রেড চায় ভলিউম বাড়ুক, আরও অনেক লগ্নি হোক। নতুন লগ্নিকারীদের আবির্ভাব হোক, তারা এই ক্ষেত্রে সম্পদবৃদ্ধির চেষ্টা করুক, অন্যদের মতো আমিও তা চাই। রুপো নিয়ে, আগামিদিনে, অনেক বেশি সোচ্চার হব আমরা। পোর্টফোলিওর আওতাভুক্ত করুন এই ধাতুটিকে, লাভবান হবেন। তবে কেউ যদি ভাবেন, প্রতিবার চটজলদি লাভ করবেন, বা একদিনেই বাজিমাত হবে, তাহলে সেই ধারণার স্থান এই যুগে আর তেমন নেই। দীর্ঘমেয়াদি লগ্নির আলাদা মর্যাদা আছে, রয়েছে অনেক সুবিধাও।
রুপো, সে ‘ফিজিক্যাল’ই হোক বা ‘ইলেকট্রনিক’-এ নিয়ে তেমন ভাবনার সুযোগ আছে। ‘ফিজিক্যাল’ মার্কেটে দামের একটি স্তর এই মুহুর্তে ভাঙছে। সব পতনই তো গ্রাহকদের শেষাশেষি নতুনভাবে ক্রয়ের সন্ধান দেয়। সেই কেনাকাটির সন্ধিক্ষণেই এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে চাঁদির বাজার।
(লেখক রুপো বিশেষজ্ঞ)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.