তন্ত্রচর্চার মূল আধার শক্তি। সেই শক্তিকে কেন্দ্র করে থাকে মহামায়ার দশটি বিশেষ রূপ। এঁরাই দশ মহাবিদ্যা। যার তৃতীয় মহাবিদ্যা দেবী ষোড়শী। ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী তিনি ষোলো বছরের বালিকার স্বরূপ। দেবী মহামায়ার এই বিশেষ রূপকেই নিজের স্ত্রীর মধ্যে কল্পনা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। ভক্তিভরে ফলহারিণী অমাবস্যায় দেবীর পুজো করেছিলেন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে পালিত হচ্ছে শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর ১৭১ তম জন্মতিথি। সংঘ জননীর জন্মতিথিতে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ পুজো, হোম, যজ্ঞে মুখরিত বেলুড় মঠ এবং বাগবাজারের মায়ের বাড়ি।
ইতিহাস বলছে, ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর, বাংলা হিসেবে ১২৬০ সালের ৮ পৌষ, বৃহস্পতিবারে রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং শ্যামাসুন্দরী দেবীর সংসারে জন্মগ্রহণ করেন সারদামণি।
যিনি সীতা, রাধার প্রতিমূর্তি, যিনি শক্তিস্বরূপা স্বয়ং সরস্বতী, তিনি এক হাতে ধরে আছেন সভ্যতার প্রাচীন মহিমাময় আদর্শ। আর অপর হাতে বরাভয় দান করছেন সমসময়ের আধুনিকতাকে।
দুই হাত এসে মিলছে সাধনার ভঙ্গিতে, আর ক্রমশ উপলব্ধি হয় জগতের যে, রামকৃষ্ণের সংসারে কী প্রগাঢ় এক বিস্ময় মা সারদা। এমনটাই বুঝেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা।
সারদাদেবী নিজের সম্পর্কে তিনি বলতেন- আমি সতেরও মা, অসতেরও মা। আবার ঠাকুর রামৃষ্ণ পরমহংস তাঁর মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভক্তদের কাছে বলেছিলেন- ও সারদা, সাক্ষাৎ সরস্বতী!
মা সারদা দেবীর জন্মতিথি উপলক্ষে সেজে উঠেছে বেলুড়। সাধারণত মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বেদপাত্র, ভজন পরিবেশন চলে দিনভর।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.