৩৬ বছর ধরে ধৈর্য ধরা মুখের কথা না। দিয়েগো মারাদোনা পেরেছিলেন। লিও মেসি কি পারবেন? একটা করে বিশ্বকাপ অতিক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর ছিল অধরা। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দেশবাসীকে বিশ্বজয়ের আনন্দে ভরিয়ে দিলেন এলএম টেন।
আলোর রোশনাইয়ে ভাসল আর্জেন্টিনার রাজধানী। লাইটিংয়ে ভেসে উঠল ফুটবলের রাজপুত্র মেসির চেহারা।
১৯৮৬-র পর ২০২২। তিনযুগের শাপমুক্তি ঘটেছে। উচ্ছ্বাস যে বাঁধভাঙা হবে, তা আন্দাজ করাই যায়। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বিশ্বজয়ের আনন্দে শামিল হল প্রেমিক যুগলও।
আজ সব মান-অভিমান ভুলে আনন্দে ভেসে যাওয়ার দিন। আর্জেন্টিনার নানা প্রান্তের দৃশ্যগুলি যেন সে কথাই বলছে। বিশ্বকাপের রেপ্লিকা সঙ্গে নিয়ে উল্লাস মহিলা ফুটবলভক্তদেরও।
আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ম্যাচ নিয়ে মেসির দেশের প্রায় সর্বত্রই উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। আর নিজেদের দলের জয়ের পর সেই উচ্ছ্বাস বাঁধ ভাঙল। ভিড়ে উপচে পড়ে বুয়েন্স আইরেস। রাস্তায় নেমে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠে গোটা শহর।
রবিবাসরীয় রাতে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন বি-টাউনের সেলেবরাও। চেটে-পুটে উপভোগ করেন রুদ্ধশ্বাস হাইভোল্টেজ ফাইনাল।
মেসির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। আর্জেন্টিনা সমর্থক ভিকি কৌশলও আনন্দে আত্মহারা। আলিয়া ভাট থেকে দীপিকা-রণবীর- ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত প্রত্যেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পোস্টগুলিই তার সাক্ষী।
বুয়েন্স আইরেস থেকে কলকাতার দূরত্ব যতই হোক, মেসিকে নিয়ে শহরবাসীর আবেগ কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। রবিবার নীল সাদা রঙে রঙিন হয়েছিল তিলোত্তমা। মধ্যরাতেও আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন সমর্থকরা।
সোমবার আবার মেসির সাফল্যকে স্যালুট জানাতে ফানুস ওড়ালেন উত্তর কলকাতার মেসি সমর্থকরা। ভুললেন না প্রয়াত মারাদোনাকে শ্রদ্ধা জানাতেও।
আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে কাতারে হাজির হয়েছিলেন বিখ্যাত শেফ সল্ট বে। কিন্তু ম্যাচ শেষে বিতর্কে জড়ান তিনি। সাধারণত বিশ্বকাপ ট্রফি যে কেউ হাতে নিতে পারেন না। তবে সেই নিয়ম ভেঙে ট্রফি হাতে তুলেই বিতর্ক তৈরি করেন তিনি।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.