প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কর্ণাটক-সহ দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। স্বাভাবিক জনজীবন থমকে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ট্রাক্টরে চেপে অফিস যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বেঙ্গালুরুতে বন্যায় ভেসে গিয়েছে পানীয় জল সরবরাহের স্টেশন। রাস্তায় জল জমে গিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে।
ইতিমধ্যেই নৌকা নামিয়ে বন্যা দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টি আরও বাড়বে।
বন্যার ফলে ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে বহু মানুষের। বাধ্য হয়ে নানা হোটেলে আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা। আকাশ ছুঁয়েছে হোটেলের ভাড়া।
বেঙ্গালুরু প্রশাসনকে গ্রিভান্স সেল তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। বন্যা দুর্গতরা সেখানে নিজেদের সমস্যার কথা জানালে যেন অবিলম্বে সমাধান করা হয়।
বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।
গতকালই জলমগ্ন রাস্তায় একটি বিদ্যুতের খুঁটি ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বেঙ্গালুরুর এক তরুণীর। প্রচুর বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
কর্ণাটকে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অফিসের কর্মচারীরাও যেন বাড়িতে থেকেই কাজ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অফিসের কর্তৃপক্ষদের।
জলে ডুবে গিয়েছে উইপ্রো চেয়ারম্যান ঋষদ প্রেমজির বাড়িও।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.