Advertisement
Advertisement
ধোনি

দেশের জার্সি গায়ে এই পাঁচটি কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ধোনি

২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের কথা মনে আছে?

সাল ২০১২। অস্ট্রেলিয়ার গাব্বায় ত্রিদেশীয় সিরিজে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। রায়নার ডেলিভারিতে মাইকেল হাসিকে স্টাম্প আউট করেন ধোনি। থার্ড আম্পায়ার আউট দেখালেও ফিল্ড আম্পায়ার বিলি বাউডেন ফের ডেকে নেন হাসিকে। যা একেবারেই পছন্দ হয়নি ধোনির। ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। সেই ম্যাচে ১১০ রানে জেতে হোম ফেভারিটরাই।

ধোনির কেরিয়ারের সম্ভবত সবচেয়ে আলোচ্য সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতের করুন পারফরম্যান্সের পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-রাহুল দ্রাবিড়কে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। তাঁর যুক্তি ছিল, ওয়ানডে দলে গম্ভীর-রায়নাদের মতো তরুণদের জায়গা দেওয়া বেশি জরুরি। তাঁর সেই সাহসী সিদ্ধান্ত পরে প্রশংসা পেলেও অভিজ্ঞ তারকা ছাঁটাইয়ের জন্য সমালোচিতও হয়েছিলেন ধোনি।

২০১২ সাল নাগাদই দলে রোটেশন পদ্ধতি শুরু করেন ধোনি। তাঁর মতে তরুণদের সুযোগ করে দিতে ও ফিল্ডিংয়ের মান ভাল রাখতে শচীন তেণ্ডুলকর, গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র শেহওয়াগের মতো তারকাদের রোটেশনে খেলানো হবে। তাঁর এই পদ্ধতির সমালোচনা করেছিলেন অনেক প্রাক্তনীই। অবসরের পর গম্ভীরও রোটেশন পদ্ধতির নিন্দা করেন।

২০১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ধোনির গ্লাভসে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় সেনার বিশেষ ব্যাজ। আইসিসি সাধারণত এ ধরনের কোনও লোগো ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। ফলে এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তবে সেনাকে সম্মান জানাতে ধোনির এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়ায় বিসিসিআই।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডের ম্যাচের ঘটনা। সিঙ্গল নিতে গিয়ে বাংলাদেশি পেসার মুশতাফিজুর রহমানকে ধাক্কা মারে ধোনি। পরে সাফাই দিয়ে মাহি বলেন, ধাক্কা যাতে না লাগে, তার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। এর জেরে ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা যায় ধোনির। ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয় রহমানের।