উৎসবের মরশুমে উত্তরবঙ্গে রাতভর অবিরাম বৃষ্টি।
লাগাতার বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির আরও অবনতি। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। সেতুতে দেখা দিয়েছে ফাটল।
টানা বৃষ্টিতে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। পোখরিয়াবং থেকে সুখিয়াপোখরি এবং ঘুম থেকে বিজনবাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় ধস। মানেভঞ্জন থেকে রিমবিক রোডে একটি ছোট সেতু বিপর্যস্ত। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বালাসন সেতুতে দেখা গিয়েছে ফাটল।
পশ্চিম সিকিমের রাংডাংয়ে রেশি নয়াবাজার, সিংশোর সেতুর ডেন্টাম উতরে, চৌরাস্তার হিগাঁও থেকে ছায়াতল পর্যন্ত এবং গ্যালসিং বাজারের গ্যালসিং থেকে সাকিয়ং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ। নামচি-মেল্লি ভাই কিতম রোড, ডেনচ্যাংয়ের কাছে নামচি-জোরথাং, ভিউপয়েন্টের কাছে নামচি-নামথাং, নরকঝোড়ার নামথাং-রংপো, গাগুনির রাভাংলা-ইয়াংথাং, ত্থুল্লু গোলাইয়ের জোড়থাং-মেল্লি, নামচি-ডামথাং রোড বন্ধ রয়েছে।
কালুক-ডেন্টাম রোডেও দেখা গিয়েছে ফাটল। বন্ধ যানচলাচল। নৌকাঘাট মোড় থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রোহিনী রোড, পাঙ্খাবাড়ি রোডে যানচলাচল স্বাভাবিক।
ধস কবলিত রাস্তায় আটকে পড়েন বহু পর্যটক।
টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে তিস্তার জলস্তর। তার ফলে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন তিস্তার বিবেকানন্দ ও সারদা পল্লি এলাকা জলমগ্ন। দক্ষিণ সুকান্ত নগরও জলের তলায়।
তিস্তার জলে প্লাবিত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনে মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই উত্তরবঙ্গবাসীর। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা জারি। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে কমলা সতর্কতা এবং আলিপুরদুয়ারে হলুদ সতর্কতা জারি।
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.