একটা সময় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল থিয়েটার। বর্তমানে বিগ বাজেটের সিনেমা, মাল্টিপ্লেক্সের রমরমায় মৃতপ্রায় অবস্থা থিয়েটারের। যার জেরে করুণ অবস্থা এই থিয়েটারের নেপথ্য শিল্পীদেরও। এবার পুজোয় তাঁদের কথাই মনে করাবে বেহালা ১১ পল্লি।
কেমন আছেন তাঁরা, তাঁদের পরিবার? থিয়েটার দেখতে বসে অলীক জগতে হারিয়ে যাওয়ার সময় আর সেসব কথা মনে পড়ে না। সেসব খবর নেওয়ারও চেষ্টা করি না আমরা। থিয়েটারের সেই টেকনিশিয়ান, মেক আপ আর্টিস্ট, লাইটম্যানদের সম্মান জানিয়েই সাজছে বেহালার এই মণ্ডপ। সৃজনে শিল্পী রত্নদীপ প্রামাণিক।
থিয়েটারের নেপথ্যে থাকা এই মানুষগুলো পরিবারের কথা ভুলে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করেন। সময়ে না এলে কখনও তাঁদের পরিচালকের ধমক খেতে হয় তো কখনও হাজারো ক্লান্তি সত্ত্বেও লাইট অপারেটের কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
অসুস্থ শরীর নিয়েও নিরলস প্রয়াসে নাটকের মঞ্চ প্রস্তুত করেন তাঁরা। সাজিয়ে তোলেন অভিনেতা, অভিনেত্রীদের। এত হাড়ভাঙা খাটনি সত্ত্বেও তাঁরা থেকে যান নেপথ্যে।
নিজেদের ৭০ তম বর্ষে তাঁদের কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছে ১১ পল্লি। মণ্ডপজুড়ে থিয়েটার চত্বরের পরিবেশ ফুটে উঠবে। টিকিট কাউন্টার থেকে চায়ের দোকান, পোস্টার, দেওয়াল লিখন, সবকিছুর মাধ্যমেই থিয়েটার কর্মীদের অবদানের বিষয়টি উঠে আসবে।
দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেও যদি এই মণ্ডপ সেই সব নেপথ্য শিল্পীদের যন্ত্রণা ও দুর্দশার কথা সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দিতে সফল হয়, সেটাই হবে সবচেয়ে বড় পুরস্কার, বলছেন থিম শিল্পী।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.