লোকসভা ভোটে উজ্জ্বল বাংলার তারকারা। 'প্রধান' মুখ দেব। ঘাটালে হ্যাটট্রিক করলেন টলিউডের 'গোলন্দাজ'। সৌজন্যের হাতিয়ারেই হারালেন পদ্ম প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী।
পদ্ম প্রার্থী হওয়ার আগে থেকে দেবকে বাক্যবাণে বিঁধেছেন হিরণ। প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বেড়েছে। সবই 'বুমেরাং' হয়েছে। হারের আগেই আবার 'বাংলায় বলো' মিমের শিকারও হয়েছিলেন তারকা।
মিম রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও বিস্তর হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলার 'দিদি নম্বর ১'। রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেই পোড় খাওয়া নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ঘাসফুল শিবিরের রত্না দে-কে হারিয়ে গতবার হুগলি লোকসভায় জয় পেয়েছিলেন লকেট। কিন্তু গত পাঁচ বছরে জনতার মোহভঙ্গ হয়েছে। ফল মঙ্গলবারের হার।
যাদবপুর কেন্দ্রে এবারে সায়নী ঘোষের জয় নিয়ে খুব একটা সংশয় ছিল না। তবে, সায়নীর লড়াই ছিল সেই পারসেপশন বদলানো। কাজটি তিনি সুচারু ভাবেই করেছেন। বিজেপির অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন বিপুল ভোটে।
ভেবেছিলেন লড়াই হবে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতও ছিলেন। তার বদলে পদ্ম শিবির এবার ভরসা রেখেছিল অগ্নিমিত্রা পলের আগুনে। সেই আগুন জুন মালিয়ার কাছে হল ফিকে। তাঁকে হারিয়েই বিধানসভা থেকে লোকসভার পথে অভিনেত্রী।
আবারও 'বিহারিবাবু'তেই আস্থা রাখল আসানসোল। ২০২২ সালে উপ-নির্বাচনে জিতে এই কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছিলেন বলিউডের 'শটগান' শত্রুঘ্ন সিনহা। নিজের এই আসন অক্ষুন্ন রাখলেন তিনি। বিরোধীদের করে দিলেন 'খামোশ'।
রাখে কেষ্ট হারে কে! বীরভূমে আবারও 'চড়াম চড়াম' ঢাকের শব্দ। জেলা জুড়ে সবুজ-ঝড়। অনুব্রতহীন বীরভূমেও নিজের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন শতাব্দী রায়।
বঙ্গ রাজনীতিতে মহীরুহের পতন। পাঠান গর্জনে কুপোকাত বহরমপুরের ‘রবিনহুড’। ১৯৯৯ থেকে বহরমপুরে জিতেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু এবারে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন ইউসুফ পাঠান। ৮০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী ক্রিকেটার।
চমকে দিয়েছেন আরেক ক্রিকেটার। দিলীপ ঘোষের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতাকে 'রগড়ে' দিয়েছেন কীর্তি আজাদ। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে সবুজ ঝড় ফিরিয়েছেন তিনি।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.