Advertisement
Advertisement

Breaking News

2011 World Cup

আউট হওয়ার পর ভারতের ব্যাটিং দেখেননি শচীন! একনজরে বিশ্বজয়ের একযুগের একগুচ্ছ স্মৃতি

২৮ বছর পরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতের ঘরে।

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে দু'বার টস হয়েছিল। যেকোনও ম্যাচে একবারই টস হয়। কিন্তু হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ঠাসা স্টেডিয়ামে মনসংযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন আম্পায়ার। টসের সময় ধোনি কী কল করেছেন, সেটা ধরতে পারা যায়নি। বাধ্য হয়ে আবার টস করতে হয়। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি।

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমে বেশ ভাল শুরু করেছিলেন শচীন। অসাধারণ শটে দু'টি চারও মারেন। কিন্তু মাত্র ১৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মাস্টার ব্লাস্টারকে। তারপর আর ড্রেসিংরুমে ফিরে ম্যাচ দেখেননি তিনি। চোখ বুজে কেবল প্রার্থনা করছিলেন, ভারত যেন এই ম্যাচটা জিতে যায়। ভারতীয় ইনিংসের অধিকাংশ সময়েই ব্যাটিং দেখেননি মাস্টার ব্লাস্টার।

মাত্র ৩১ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় ভারত। চাপের মুখ থেকে ভারতকে উদ্ধার করেন গৌতম গম্ভীর। ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু শট মারতে গিয়ে তাঁর ব্যাট ভেঙে যায়। বাধ্য হয়ে ব্যাট পালটাতে হয় গম্ভীরকে। পরের বলেই আউট হয়ে যান। মাত্র ৩ রানের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনালের সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তাঁর।

বিশ্বকাপের শুরুতেই যুবরাজ সিং জানতে পারেন, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যানসার। তবে সেই যন্ত্রণা সহ্য করেই গোটা টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েছিলেন তিনি। যখনই দলের প্রয়োজন, ব্যাটে-বলে দুই ভূমিকায় জ্বলে উঠেছিলেন। ম্যাচ চলাকালীন একাধিকবার অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাল ছাড়েননি। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের পুরস্কার, ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের ট্রফি ওঠে পাঞ্জাব পুত্তরের হাতে।

নুয়ানা কুলশেখরার বলে ধোনির সেই ছয়। আসমুদ্রহিমাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই শট দেখে। গ্যালারিতে আছড়ে পড়ার পর কানে গেল রবি শাস্ত্রীর গলায়, "ধোনি ফিনিশেস অফ ইন স্টাইল।" ভারত তখন বুঝল, হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে বিশ্বকাপ। যে ব্যাট দিয়ে ধোনি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন, পরে নিলামে ওঠে সেই ব্যাট। ৮৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় ঐতিহাসিক ব্যাটটি।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক। প্রথম বোলার হিসাবে ৮০০ টেস্ট উইকেট পেয়েছিলেন। সেই মুথাইয়া মুরলীধরণ জীবনের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। কেরিয়ারে একাধিক সাফল্য পেলেও, বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাননি শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি। পরপর দু'বার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল মুরলীকে।

৩রা এপ্রিলের সকালের সেই স্মরণীয় ছবি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে মন্দিরে গিয়ে মানত করেছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপের ট্রফি যেন ভারতের হাতেই ওঠে, সেই কামনা করে মাথার চুল মানত করেছিলেন। বিশ্বকাপ জয়ের পরদিনই ন্যাড়া হয়ে যান ভারত অধিনায়ক। তারপরেই আরব সাগরের তীরে বিশ্বকাপ হাতে ছবি। ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আজও অমলিন ট্রফি হাতে ধোনির ছবি।