Advertisement
Advertisement
Jalpaiguri

বসত এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপ, মিনিট পাঁচেকের ঝড়ে জলপাইগুড়িতে উড়ল আলমারি! নিঃস্ব বিপর্যস্তরা

ধ্বংসস্তূপ থেকে শেষ সম্বল সংগ্রহে ব্যস্ত স্থানীয়রা।

রবিবার সন্ধ্যায় ৪-৫ মিনিটের ঝড়ে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি। ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।

ঝড়ে উড়ে যায় একাধিক বাড়ির চাল। উপড়ে গিয়েছে গাছ। বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। তার ফলে বিধ্বস্ত এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।

প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ৫ জনের। কেউ হারিয়েছেন ভাই। ঝড়ে প্রাণ গিয়েছে কারও বাবার। আবার কেউ হারিয়েছেন তাঁর মাকে। স্বজনহারাদের কান্নায় ভারী জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির আকাশ, বাতাস।

বহুদিনের চেষ্টায় কষ্ট করে সাজানো বাড়ি তছনছ। কারও উড়ে গিয়েছে আলমারি। বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে পড়েছে গ্যাস ওভেন। সর্বস্ব হারিয়ে কান্নার রোল এলাকায়।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ১২টি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলও উদ্ধারকাজে হাত লাগায়।

ধ্বংসস্তূপ থেকে শেষ সম্বল সংগ্রহে ব্যস্ত স্থানীয়রা।

রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গেও কথা বলেন। স্বজনহারাদের সঙ্গেও দেখা করে সমবেদনা জানান তিনি। সোমবার দুপুরে যাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারে।

সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিপর্যয় বিধ্বস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুর্গতরা।

বিপর্যয় বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঢোকার সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।