Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kolkata Puja

মানুষের অত্যাচারে অসহায় প্রকৃতি, পাহাড়ের আর্তনাদ শোনা যাবে কলকাতার এই পুজোয়

ইট, কাঠ, পাথরের জঙ্গলে বড় অসহায় প্রকৃতি।

ইট, কাঠ, পাথরের জঙ্গলে বড় অসহায় প্রকৃতি। অত্যাধুনিক হওয়ার প্রতিযোগিতায় প্রকৃতির বুক চিড়ে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানব সমাজের তাণ্ডবে মুখ থুবড়ে পড়ছে গাছপালা-পাহাড়-সমুদ্র। এহেন 'অত্যাচারে' কতখানি বিপন্ন প্রকৃতি ও পাহাড়, সেই ছবিই এবার ফুটে উঠছে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লির পুজো মণ্ডপে।

কলকাতার পুজোর অতি জনপ্রিয় নাম শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সাজছে বেলেঘাটার এই পুজো। শিল্পী বলছেন, পাহাড়ে এত খোদাই কাজ চলছে। পাহাড়ের পিঠে হাজারো বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে মানব সমাজ। এমন অবস্থায় পাহাড়ের আর্তনাদটাই এখানে বিষয় ভাবনা।

হাজারো বোঝার চাপে যেন মুখ থুবড়ে পড়ছে পাহাড়। মণ্ডপের প্রবেশ পথেই সেই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হবেন দর্শনার্থীরা। এর পর যত ভিতরে প্রবেশ করবেন, চোখে পড়বে কীভাবে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার প্রভাব পড়ছে শিলাস্তরের বিন্যাসে।

প্রকৃতির নিয়মে শিলাস্তরের বিন্যাস না হলেই তা বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নামে ধস। আর সেই ধসেই বিপর্যস্ত হয় স্বাভাবিক জীবন। পাহাড় নিজেও যেমন রক্তাক্ত হচ্ছে, মানুষকেও রক্তাক্ত করছে। এ সমস্যা গোটা বিশ্বের। যদিও এই বিপর্যয়ের দায় আমাদেরই।

এই পাহাড়েই বাস দেবী দুর্গার। অথচ তাঁর বাসস্থানে আঘাত হেনেই আমরা উমার আরাধণা করছি। তাই নিজের বিষয় ভাবনার মধ্যে দিয়ে শিল্পী বলছেন, এবার হয়তো ভাবার সময় এসেছে। প্রকৃতির উপর প্রতিনিয়ত এই অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।

প্রকৃতিকে রক্ষা করার প্রয়োজন ঠিক কতখানি, তা অনুভব করাবে এই মণ্ডপের আবহ। সেই সঙ্গে দেবী দুর্গার শান্ত রূপের সামনে দাঁড়িয়ে মিলবে শান্তি। ভবিষ্যৎকে যাতে আগামীর বাসযোগ্য করে তোলা যায়, সেই প্রার্থনাই যেন করেন দর্শনার্থীরা। আশা শিল্পীর।

সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথমবার থিম শিল্পী হিসেবে নিজেদের সঙ্গে পেয়ে খুশি পুজো উদ্য়োক্তারাও। সুশান্ত সাহা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে দিচ্ছেন, এবার পুজোয় মানুষের ঢল তো নামবেই, পুরস্কারের বন্যাও বইবে।