Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kumbha

মহাভারতের ‘বনপর্বে’ উল্লেখিত হুগলির ত্রিবেণীতে এবার বসছে কুম্ভস্নানের আসর, দেখুন প্রস্তুতির ছবি

৭০২ বছর পর ত্রিবেণীতে শুরু হল তিনদিনের কুম্ভমেলা, ১৩ তারিখ হবে শাহী স্নান।

৭০২ বছর বাদে ফের হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভ মেলা। ঐতিহাসিক কুম্ভ স্নানের সাক্ষী ত্রিবেণীবাসী। উদ্যোক্তা বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা ও ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালন সমিতি।

কুম্ভ স্নানের সাক্ষী হতে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ত্রিবেণীতে। হাজার হাজার সাধু-সন্তদের পাশাপাশি লক্ষাধিক ভক্ত ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণীর পুণ্যলগ্নে গঙ্গাবক্ষে 'শাহী স্নান' সারবেন।

ত্রিবেণীর তিনটি ঘাট - ত্রিবেণী, সপ্তর্ষি ও রাজাঘাটে স্নানের ব্যবস্থা থাকছে। ঘাটগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এখানে এই প্রথমবার বহু সাধু-সন্ন্যাসী, সনাতন ধর্মের মার্গ দর্শন ও মোক্ষলাভের জন্য পবিত্র গঙ্গায় স্নান করবেন।

তৈরি পবিত্র যজ্ঞকুণ্ড। ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরে সাধুরা এখানে যজ্ঞ করবেন। তারও প্রস্তুতি সারা।

সারা পৃথিবীর মানুষ হরিদ্বার, এলাহাবাদ, উজ্জ্বয়িনী ও নাসিক - এই চারটি জায়গাকেই কুম্ভমেলার পবিত্র স্থান হিসেবে চেনেন। তবে মহাভারতের 'বনপর্বে' পুলস্ত্য মুনি এই ত্রিবেণী তীর্থে কুম্ভের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই পুণ্যতীর্থ ত্রিবেণীতে কুম্ভস্থানের মধ্যে দিয়ে পবিত্র হবে বঙ্গ। এবার ত্রিবেণীও আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেবে বলে আশা প্রশাসনের।

কুম্ভ মানেই সাধুসন্তদের সমাগম। জুনা আখড়ার নাগাবাবা ব্রহ্মানন্দ গিরি এসেছেন ত্রিবেণীতে। পবিত্র কুম্ভমেলার চার স্থান ঘুরে আসা ব্রহ্মানন্দ গিরি নিজের উপলব্ধির কথা শোনালেন। তাঁর কথায়, ''ধর্মনীতি বাদ দিয়ে অর্থনীতি চলতে পারে না। আবার অর্থনীতি বাদ দিয়ে ধর্মনীতি চলতে পারে না।''

কল্যাণীর মাঝেরচরে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ঘাটেও কুম্ভমেলা শুরু। পাঁচদিনের এই কুম্ভমেলায় বিভিন্ন জায়গা থেকে নাগা সন্ন্যাসীরা জমায়েত করেছেন। এই মেলার আনুমানিক খরচ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। শনিবার প্রায় ১o হাজার তীর্থযাত্রীদের জন্য দুপুরের খিচুড়ি, একটি তরকারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রবিবারও একই ব্যবস্থা থাকছে। প্রায় ৫০০ সাধু সন্ন্যাসীর দুবেলার খাবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।