অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে পুরীতে শুরু রথযাত্রার প্রস্তুতি। রবিবার থেকে জগন্নাথ দেবের রথ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। চন্দন যাত্রার মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়।
রীতি মেনে পুরীর পবিত্র নরেন্দ্র ট্যাংক এলাকায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ নির্মাণ শুরু হয়েছে। এই নির্মাণকে কেন্দ্র করে আগামী ২১ দিন চলবে রথ খলা উৎসব। তিনটি সুবিশাল রথ নির্মাণ করা হবে আগামী ২১ দিন ধরে।
জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে গ্র্যান্ড রোডের উপর নির্মাণকাজ চলছে। চন্দন কাঠ একত্রিত করে তা প্রণাম করে কুড়ুল হাতে কাজে নেমেছেন কর্মীরা।
অক্ষয় তৃতীয়ায় শুরু চন্দন যাত্রা উপলক্ষে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার জন্য ওয়াটার স্পোর্টেরও আয়োজন করা হয়। এই সময় জগন্নাথদেবের মদমমোহন মূর্তি, বলরাম ও সুভদ্রার সঙ্গে ভূদেবী, শ্রীদেবী এবং পঞ্চ পাণ্ডবের পাঁচটি শিবলিঙ্গকে গর্ভগৃহ থেকে বের করে নরেন্দ্র ট্যাংক চত্বরে আনা হয়।
এরপর নন্দ এবং ভদ্র নামে দু'টি বৃহদাকার হাঁসের আকৃতির নৌকায় তোলা হয় ওই মূর্তিগুলিকে। ফুলের সাজে সেজে ওঠে সেই হংসরাজ নৌকা।
আগামী ২০ জুন রথযাত্রা। সে সময় প্রতিবারই পুরীতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু তার আগে চন্দন যাত্রার সময় থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন ভক্তরা। দেশের নানা প্রান্ত তো বটেই বিদেশ থেকে ভক্তরা পৌঁছে গিয়েছেন জগন্নাথ ধামে।
চন্দন যাত্রা উপলক্ষে এবং ২১ দিন ব্যাপী রথ নির্মাণের জন্য পুরীকে আঁটসাঁট নিরপাত্তা। ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ওড়িশা প্রশাসনও।
পুরীর পাশাপাশি মাহেশ এবং মায়াপুরের ইসকন মন্দিরেও অক্ষয় তৃতীয়ায় ধুমধাম করে শুরু হয়েছে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.