শিকড়ের টানে শারদোৎসবের আয়োজন করে থাকেন আমেরিকার মেমফিস শহরের বাসিন্দা। ৪৪ বছর ধরে একইভাবে পুজো হয়ে আসছে এখানে। সপ্তাহান্তে এখানকার প্রবাসী বাঙালিরা মেতে ওঠেন মাতৃ আরাধনায়।
পঞ্চপ্রদীপ, মন্ত্রোচ্চারণ, অঞ্জলি, আশীর্বাদে পাঁচদিনের পুজো দু দিনেই সমাপ্ত। তাই প্রতি পল-অনুপল আনন্দে ভরে নিতে চান প্রবাসী বাঙালিরা। পুজোয় হাজার ব্যস্ততার মাঝেই আনন্দ খুঁজে নেন তাঁরা।
মেমফিসের মিড সাউথ বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দেওয়া সকলকে স্বাগত জানাতে তৈরি ফটক। তাতে পুরোপুরি উৎসবের ছোঁয়া।
সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে ঢাক বাজিয়ে দারুণ মজা খুদে সদস্য়ের। কচি-অপটু হাতে ঢাকের বোলে যেন সেই চেনা সুর - 'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ?...'
ষোড়শ উপচারে পুজোর আয়োজনে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন ছোট, বড়, নারী, পুরুষ সকলে। সন্ধ্যারতির কাঁসর-ঘণ্টাধ্বনিতে
শুধু পুজোই নয়, সপ্তাহান্তে মেমফিসের কর্ডোভা কমিউনিটি সেন্টারে হয়ে গেল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলকাতার ছোঁয়া পেতে বাংলা সংস্কৃতি চর্চার আয়োজন। পুজোর সন্ধেগুলো একেবারে জমজমাট।
পুজোয় পেটপুজো আবশ্যিক। আর তেমনই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন মেমফিসে। শুক্র-শনি-রবিতে পুজো শেষে ভোগ আর পছন্দের সব বাঙালি রেসিপির রসাস্বাদন মনপ্রাণ খুলে। সকলের হাতে হাতে দেওয়া হয় খাবারভর্তি প্লেট।
এবার উমা বিদায়ের পালা। ঠিক সন্ধে নামার আগে সাবেকি সাজে সেজে পানপাতা দিয়ে মুছিয়ে দেওয়া মায়ের চোখের জল, মিষ্টি খাইয়ে কানে কানে বলা - 'আবার এসো মা'।
বিদেশিনীরাও শামিল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে। পরনে লাল শাড়ি, কপালে টিপ - ঠিক যেন বঙ্গবধূ সব! আসলে দুর্গাপুজোর আমেজে না মজে উপায় কী?
বিজয়া দশমীতে সিঁদুরখেলায় মেতে উঠেছেন এই বিদেশিনীও। এভাবেই মেমফিসের শারদোৎসব বাঙালি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়ে যায় আমেরিকার মাটিতে।
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.