তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের 'কিং'। আইপিএলের মঞ্চেও দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে চলেছেন তিনি। বিরাটের বিধ্বংসী ফর্মের শুরু এই বছর থেকেই। ২০১১ সালে তিনি থামেন ৫৫৭ রানে। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭১।
আরসিবির অধিনায়ক হিসেবে ২০১৩ সালে কোহলিকে নতুন ভাবে চিনল ক্রিকেটবিশ্ব। এবছর মোট ৬৩৪ রান করেন তিনি। তার মধ্যে ৬টি অর্ধশতরান করেন কিং। মাত্র ১ রানের জন্য শতরানের সুযোগ হারান একটি ম্যাচে।
আইপিএলে ফের ৪০০-র বেশি রান বিরাটের। ২০১৫ সালে ১৬ ইনিংসের শেষে তিনি পৌঁছন ৫০৫ রানে। সেমিফাইনালে চেন্নাইয়ের কাছে হেরে সেবার স্বপ্নভঙ্গ হয় বেঙ্গালুরুর।
কোটি টাকার টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মরশুম বললেও বোধহয় ভুল বলা হবে না। ২০১৬ সালে ৮০-র উপর গড় নিয়ে রেকর্ড ৯৭৩ রান করেন বিরাট। যা আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি। এই মরশুমে মোট চারটি সেঞ্চুরি হাঁকান কিং কোহলি।
আইপিএলে আরেকটা হতাশার মরশুম আরসিবির। তার মধ্যেই উজ্জ্বল বিরাট। ২০১৮ সালে শেষ পর্যন্ত ৫৩০ রান করেন তিনি। সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৯২।
লিগ টেবিলে সবার শেষে বেঙ্গালুরু। টানা ছয় ম্যাচে হারতে হয়েছে। তার মধ্যেও একের পর এক দুরন্ত ইনিংস খেলে গিয়েছেন বিরাট। ২০১৯ সালে করেছিলেন মোট ৪৬৪ রান। যার মধ্যে একটি শতরানও ছিল।
২০২০-র মরশুমে ৪৬৬ রানে থামল কোহলির ব্যাট। যদিও কিং সুলভ ফর্মে খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবুও আগ্রাসী মেজাজেই প্রতিপক্ষকে আহত করার চেষ্টা করেন তিনি।
অনেকটাই অফ ফর্মে বিরাট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও চেনা ছন্দে ছিলেন না এই সময়ে। তবুও ৪০৫ রান করেন ২০২১ সালের আইপিএলে। যা বহু ক্রিকেটারের স্বপ্ন, তা করা সত্ত্বেও 'অফ ফর্মেই' ধরা হয় কোহলিকে।
কিং কোহলির প্রত্যাবর্তন। যাবতীয় সমালোচনাকে মাঠের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে ফের রাজার মেজাজে দেখা গেল কোহলিকে। ২০২৩-এ মোট ৬৩৯ রান করেন তিনি। ছিল দুটি শতরানও।
চলতি বছরেও অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন কোহলি। ৯ ইনিংসে করেছেন ৪৩০ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৩। শেষ পর্যন্ত কত রানে থামবেন কোহলি? সময়ই তার উত্তর দেবে।
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.