পুজো আসছে। তবে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিকে ছাপিয়ে শহরজুড়ে পুজো পুজো আমেজ। তাই তো বরুণ দেবের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই শপিংয়ে মেতেছে বাঙালিরা।
যে কোনও উৎসবের আগেই শপিংয়ের জন্য ধর্মতলা চত্বরে উপরে পড়ে ভিড়। শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও কেনাকাটা করতে নিউ মার্কেটে পৌঁছে যায় মানুষ। এবার পুজোর অনেক আগে থেকেই ধরা পড়ছে সেই ছবি।
করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগোচ্ছে বাংলা। তাই পুজোও এবার যে চেনা ছন্দে ফিরবে, তেমনটাই আশা করা হচ্ছে। তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আগে গড়িয়াহাট চত্বরও ফিরেছে চেনা ছন্দে।
বৃষ্টি হোক বা রোদ, গরমের দাবদাহ হোক বা ভিড়ের ধাক্কাধাক্কি। নতুন পোশাক, গয়না, ব্যাগ, জুতো কেনার ক্ষেত্রে কোনও বাধাই মানছে না উৎসবপ্রেমী বাঙালি।
হাতিবাগান বাজারে শপিং করার প্ল্যান রয়েছে? তাহলে চেষ্টা করুন শনি আর রবিবার বাদ দিয়ে যাওয়ার। কারণ সেদিন গেলে ভিড়ের চাপে হয়তো পছন্দের জিনিসটাই কেনা হবে না!
সস্তায় শাড়ি, লেহঙ্গা কিংবা বাড়ি-ঘর সাজানোর নানা সরঞ্জাম কিনতে বড় বাজারেও ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। বৃষ্টি না হলে সকালের দিকে ঢুঁ মারতে পারেন সেখানে। ভিড় তুলনামূলক কম পাবেন।
কেনাকাটার ব্যস্ততার মতোই কুমোরটুলিতেও চলছে শেষবেলার প্রস্তুতি। বৃষ্টির মধ্যে কাজ শেষ করতে নাভিশ্বাস শিল্পীদের।
পুজো আসছে, আর কুমোরটুলিতে ফটোশুট হবে না, তাই কি হয়? শুটিং দেখার ইচ্ছা হলে উইকেন্ডে চলে যান পটুয়াপাড়ায়। সঙ্গে অবশ্যই রাখবেন ক্য়ামেরা। মন ভাল করা কিছু ছবি ঠিক পেয়ে যাবেন।
মণ্ডপে আসার আগেই মায়ের দর্শন হয় কুমোরটুলিতে। তবে তো মনে হয় পুজো আসছে। কীভাবে দিনরাত ভুলে কাজ করছেন শিল্পীরা, শপিংয়ের আগে দেখেই আসুন।
এবার আরও আগে শুরু হয়ে যাবে পুজো। সুতরাং প্রতিমা আগেভাগে পৌঁছে দিতে হবে ক্লাবে ক্লাবে। অথচ আকাশের মুখ ভার। সবমিলিয়ে মৃৎশিল্পের আঁতুরঘরে ব্যস্ততা তুঙ্গে।
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.