Advertisement
Advertisement

Breaking News

দহন জ্বালায় পুড়ছে রাজ্য, আশঙ্কা তাপপ্রবাহের, হিট স্ট্রোক রুখতে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্যভবনের

১০ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতায় পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে।

এখনও চৈত্র ফুরোয়নি। কিন্তু গ্রীষ্ম ইতিমধ্যে রুদ্ররূপ দেখাতে শুরু করেছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, বৃষ্টির আশা তো নেই-ই, রাজ‌্যজুড়ে দহনজ্বালা তুঙ্গে উঠবে। নতুন বাংলা বছর আরম্ভই হবে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে। এমতাবস্থায় হিট স্ট্রোকে শারীরিক বিপর্যয় রুখতে বিশেষ নির্দেশিকা ও জনগণের উদ্দেশে সচেতনতার বার্তা জারি করেছে রাজ‌্য স্বাস্থ‌্যদপ্তর।

চৈত্র শেষে কাঠফাটা গরম। হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। তার উপর তাপপ্রবাহের সতর্কতা। চৈত্রের শেষ দিন ও নববর্ষে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়ে রাখল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

এপ্রিলের গোড়ার দিকে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টিতে পশ্চিমি জেলার আবহাওয়া ছিল স্বস্তিদায়ক। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে পুরুলিয়ায় হাওয়াবদল। দুপুরের দিকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তবে বিকেলের পর থেকে আবহাওয়া মনোরম হয়ে ওঠে।

এই গরমেই রক্ষা নেই। তা আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। ১০ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতায় পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে। তাই হাওয়া অফিসের পরামর্শ, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না যাওয়াই নিরাপদ। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার পারদ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

এখন থেকেই জ্বলছে জেলাগুলি। অনেক জেলায় খরা পরিস্থিতি। সোমবার পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ চড়বে। সোমবারের পর থেকে তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। ৬-৭টি জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বা তারও বেশি থাকতে পারে তাপমাত্রা। বর্ষবরণের দিনও চলবে তাপপ্রবাহ। ওই দিনগুলিতে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা-সহ উপকূল সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আপাতত ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

এর আগে এত লম্বা সময় ধরে পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখা যায়নি। প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই আবহাওয়া অফিসের বার্তা পেয়ে গরম থেকে বাঁচতে স্বাস্থ‌্যভবনও বঙ্গবাসীকে সচেতন করেছে।

হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, ওআরএস রাখতে হবে। মজুত রাখতে হবে কুলিং প্যাড, ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড। এসবের পাশাপাশি যথাযথভাবে শীতল রাখার ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। এবং হিট স্ট্রোকে কারও মৃত্যু ঘটলে তা তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট মহলে জানাতে হবে।