Advertisement
Advertisement

পুজো সকলের, সাংবাদিকতা পড়ুয়াদের উদ্যোগে হাসি ফুটল ‘ওদের’ মুখে

অনাথ, দুঃস্থ কচিকাঁচাদের নিয়ে পুজো পরিক্রমার আয়োজন৷

Journalism student's organised Puja Parikrama
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 14, 2018 8:01 pm
  • Updated:October 14, 2018 8:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মানুষ মানুষেরই জন্য’ এই মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল সাত বছর আগে৷ এবার তা আটে পা রাখল৷ এবারও একই ভাবে ‘ওদের’ মুখে হাসি ফোটাল দাদা-দিদিরা৷ অনাথ, দুঃস্থ কচিকাঁচাদের নিয়ে মহাপঞ্চমীতে এবারও অভিনব পুজো পরিক্রমার আয়োজন করলেন মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের পড়ুয়ারা৷ ঠাকুর দেখা, ঘোরাফেরার সঙ্গে গোটা দিন ধরে চলল দেদার মজা, হইহুল্লোর ও খাওয়াদাওয়া৷

Advertisement

[এবার পুজোয় আপনিও দুর্গা কিংবা অসুর, জানেন কীভাবে?]

Advertisement

শারদীয়ার উৎসব সকলের৷ সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের এতে মেতে ওঠার অধিকার রয়েছে৷ তবে সাধ থাকলেও সব সময় সাধ্যে কুলোয় না৷ তাই তো ৭০ জনেরও বেশি অনাথ ও দুঃস্থ পরিবারের শিশুকে নিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়লেন সাংবাদিকতার ছাত্র-ছাত্রীরা৷ এদের মধ্যে কেউ এসেছিল রাজাবাজার থেকে, কেউ খান্না থেকে অথবা কেউ মানিকতলা খালপাড়ের বস্তি অঞ্চল থেকে৷ প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন জামা-কাপড়৷ তিনটি এসি বাসে করে এদের ঘুরিয়ে দেখানো হয় দমদম, সল্টলেক ও নিউটাউনের উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপ৷ অবশেষে এলাহি খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে এবছরের মতো শেষ হয় পুজো পরিক্রমা৷ শপথ নেওয়া হয় আগামী বছর আরও বড় কিছু করার৷ এবারের পরিক্রমার শুভসূচনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র, আলমবাজার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহারাজ স্বামী সারদা আত্মস্থানন্দ৷ এছাড়াও কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা৷

[প্রতিমা নয়, পাণিগ্রাহী বাড়িতে দেবী পূজিতা হন দেওয়ালচিত্রে]

জানলে অবাক হতে হয়, এই পরিক্রমার খরচের বেশিটাই এসেছে পড়ুয়াদের পকেট খরচ থেকে৷ কেউ কেউ পুজোতে একটা জামা কম কিনে, সেই টাকা তুলে দিয়েছেন এই মহৎ আয়োজনে৷ বর্তমান পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতেহাত মিলিয়ে উদ্যোগে শামিল হয়েছেন প্রাক্তনরাও৷ আর এই উদ্যোগের মূল কান্ডারি কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস৷ তাঁর কথায়, ”পুজো সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য৷ তা কেবল বিত্তবানদের উৎসব নয়, প্রদীপের তলার অন্ধকার অংশেও পৌঁছাতে হবে৷ সেই ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগের শুরু৷” আটবছর আগে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আগামী দিনেও তা একই রকমভাবে বজায় থাকবে বলেও জানান তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ