Advertisement
Advertisement

পুজোয় বাংলার তাঁতের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে ৬৬ পল্লি

পুজো পরিক্রমার আগে জেনে নিন কেন যাবেন এই মণ্ডপে।

Pujo 2018: 66 Pally Puja will celebrate success of Tant business
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 3, 2018 2:19 pm
  • Updated:October 3, 2018 2:19 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন ৬৬ পল্লির পুজোর প্রস্তুতি৷

রোহন দে: বয়নের চালচিত্র। বিষয়টা কী? বাংলার তাঁতশিল্পের জগৎজোড়া সুখ্যাতি। সেই তাঁতশিল্পকেই তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। বিভিন্ন ধরনের সুতোর কাজ, বয়ন শিল্পের সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ। পাওয়ারলুমের যুগে মার খেয়েছে তাঁতশিল্প। তাঁতিদের সেই রমরমা বাজারও এখন নেই। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়বস্তুকে নিয়ে থিম ভাবনা। ৬৮ তম বর্ষে ৬৬ পল্লির এবারের থিমের পোশাকি নাম- ‘বয়নের চালচিত্র’। মাটির ও সুতোর কাজের পাশাপাশি দেখা যাবে বাংলার সনাতনী তাঁত শিল্পের প্রয়োগও।

Advertisement

Advertisement

থিম শিল্পী অদিতি চক্রবর্ত্তীর সৃজনে দক্ষিণ কলকাতার এই ক্রাউডপুলার পুজোয় বাংলার ঐতিহ্যশালী দুটি শিল্পধারার সমন্বয়েই সেজে উঠবে মণ্ডপ। ৬৬ পল্লির পুজো জুড়ে এবার বাংলারই দুটি পুরনো শিল্পের কারু-কাজ ফুটে উঠবে। বাংলার তাঁত শিল্পের চালচিত্র গোটা মণ্ডপ জুড়ে শোভা পাবে। তাঁতের পাশাপাশি সুতোর কাজও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। মণ্ডপ সজ্জায় তাঁত শিল্পে ব্যবহৃত লুম থেকে তাঁত বোনার বিভিন্ন শিল্পকর্মও থাকছে। মাটির কাজে মণ্ডপে একটুকরো বাংলাকে তুলে ধরা হচ্ছে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা গড়ছেন শিল্পী পিন্টু সিকদার। প্রতিমা এখানে দোলনায় বিরাজমান। মায়ের পরনেও থাকছে জামদানি শাড়ি। হারিয়ে যাওয়া তাঁত শিল্পের আবার ফিরে আসার আনন্দে মা এখানে থাকছেন আনন্দময়ী রূপে। রঙের ছটা মণ্ডপকে আলাদা মাত্রা দেবে। সুতোর কাজের ভিতর থেকে বেড়িয়ে আসবে রঙের ছটা। বয়ন শিল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আলোকসজ্জা করছেন পিনাকী গুহ। আবহ হিসেবে থাকবে বাংলার লোকগীতি।

[পুজোয় এবার ‘মহাজীবন’-এর ডাক দিচ্ছে বেহালা দেবদারু ফটক]

বছর কয়েক আগে এই পুজোয় ধরা দিয়েছিল পুরনো কলকাতা। থ্রি-ডি পেন্টিংয়ের মাধ্যমে স্মৃতির শহরকে তুলে এনেছিলেন শিল্পী পূর্ণেন্দু দে। গত বছর আবার সুমি-শুভদীপের ভাবনায় ফুটে উঠেছিল বহুরূপীদের সংসার। পুজোপ্রেমীদের নজর কেড়েছিল সেই ভাবনাগুলি। এবার তাঁতশিল্পের উন্নতির সেলিব্রেশন হবে ৬৬ পল্লিতে। কোথাও গিয়ে মণ্ডপের মাটির নিজস্ব রং কিছুটা বর্ণহীন মনে হলেও তাঁর সঙ্গে সুতোর অনবরত রঙের খেলা মণ্ডপটিকে দর্শনার্থীদের কাছে করে তুলবে আকর্ষণীয়।

[শিশুদের ‘আবাহন’-এর কাহিনি ফুটে উঠছে দমদম তরুণ দলের পুজোয়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ