Advertisement
Advertisement

শিশুদের ‘আবাহন’-এর কাহিনি ফুটে উঠছে দমদম তরুণ দলের পুজোয়

এক অন্যরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবেন দর্শনার্থীরা৷

Pujo2018: Dumdum Tarun Dal to depict childhood
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 3, 2018 1:09 pm
  • Updated:October 3, 2018 1:09 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন দমদম তরুণ দলের পুজোর প্রস্তুতি৷

রোহন দে: নতুন প্রস্ফুটিত ফুলের মত শিশুরা যেন দুহাত বাড়িয়ে মাকে ‘আবাহন’ জানাচ্ছে। আর মা উদযাপন করছেন তাদের জন্মকে। তাদের আবাহনেই মা জেগে উঠছেন। শিশুরাও তাদের জন্মকে উদযাপন করছে। আর মা-ও যেন সেই আনন্দে আটখানা হয়ে তাদের আনন্দকে উৎসবে মুখরিত করছেন। ৪১ তম বর্ষে দাঁড়িয়ে এই কাহিনিই বলবে এবার দমদম তরুণ দল। উত্তরের অত্যন্ত পরিচিত ও কুলীন এই পুজোর এবারের থিম- ‘আবাহন’।

Advertisement

Advertisement

[পালকিতে চড়ে স্নানে যায় কলাবউ! শহরের পুজোয় অভিনব রীতি]

গত বছরের ন্যায় এবারও দমদম তরুণ দলের পুজোর থিম পরিকল্পনা ও সৃজনের দায়িত্বে শিল্পী অনির্বাণ দাস। কলকাতার দুর্গা পুজোর ময়দানে যিনি দমদম তরুণ দলের ঘরের ছেলে হিসেবেই পরিচিত। দেবীকে যেভাবে আবাহন করে আনা হয় ঠিক তেমনই প্রত্যেক শিশুকেও আবাহন করেই পৃথিবীতে আনা হয়। কেউই অনাহূত নয়। সঠিক পরিবেশ না পাওয়ার ফলে অনেক ফুলই হয়তো পরে ঠিকমতো বিকশিত হতে পারে না। কিন্তু তাতে তো শিশুর কোনও দোষ নেই। শিশুদের একটা সুন্দর শৈশব দেওয়া প্রয়োজন। সেই কথাই ফুটে উঠেছে মণ্ডপে। গোটা মণ্ডপজুড়ে শিশুদের জগৎ ও তাদের ভাবনাগুলি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। পুরো ভাবনাটাই রঙিন। মণ্ডপজুড়ে বাচ্চাদের হাতে তৈরি আঁকি-বুঁকি থেকে সূর্যমুখী ফুল, অপ্সরা, কিন্নর-কিন্নরি সবই শোভা পাবে। মণ্ডপের চূড়ায় বিরাজমান থাকছেন হর-পার্বতী।

শিশুরা ভালবাসে রঙিন ঝকঝকে সাজগোজ করা, ঝলমলে ঠাকুর। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রতিমা শিল্পী সৌমেন পালের হাতের ছোঁয়ায় সেজে উঠছে এখানকার প্রতিমা। মণ্ডপের আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী। আলো ঝলমলে একটি রঙিন মণ্ডপ তুলে ধরাই লক্ষ্য এখানকার থিম শিল্পী ও উদ্যোক্তাদের। দমদম তরুণ দলের আরও একজন ঘরের ছেলে শতদল চট্টোপাধ্যায়ের করেছেন আবহসংগীত। ভাবনার অনেকটাই দর্শনার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এর মাধ্যমে। গত বছরেও এই মণ্ডপের আবহের দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে। এবারেও আবহসংগীত হিসেবে রবীন্দ্রসংগীত থেকে ভূপেন হাজারিকার গান রয়েছে তালিকায়। এছাড়াও তাঁর নিজের সুর ও শিশুদের সুর দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে আশা শতদল চট্টোপাধ্যায়ের।

[নস্ট্যালজিয়া উসকে হারিয়ে যাওয়া বারান্দা ফিরছে কাশী বোস লেনের পুজোয়]

এবছর শিল্পী অনির্বাণ দাসের উপর ভর করে পুরস্কার ঘরে আনতে চায় দমদম তরুণ দল। এছাড়া ভিড়ে ঠাসা মণ্ডপ তারা তো আশা করছেই। সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবেন দর্শনার্থীরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ