Advertisement
Advertisement

Breaking News

শহরের পুজোয় নয়া দৃষ্টান্ত, আংশিক দৃষ্টিহীন কুমারী পূজিতা হল সমাজসেবী সংঘে

পূজিতা কুমারীর নাম উৎসা সান্যাল।

Visually challenged girl worshiped as ‘Kumari’ at Samaj Sebi Sangha
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 18, 2018 3:16 pm
  • Updated:October 18, 2018 3:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অন্ধ জনে দেহো আলো।’ এই স্লোগান তুলে প্রচার অনেকেই চালায়। বহু সংগঠন আছে যারা দৃষ্টিহীনদের নিয়ে কাজ করে। দৃষ্টিহীনদের জন্য চক্ষুদানেরও তোড়জোড় করে অনেক সংস্থা। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সহানুভূতি অনেকেই দেখায়, সাহায্যও অনেকেই করে, সম্মানও দেয় অনেকে। কিন্তু দেবতাজ্ঞানে পুজো?

অকালবোধনের একটি রীতি আছে। অষ্টমী তিথিতে কুমারী রূপে পূজিতা হন মহামায়া। এদিন অনেক কুমারীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়। পৌরাণিক কাহিনিতে বর্ণিত আছে, কোলাসুরকে বধ করার জন্য কুমারীরূপে আবির্ভূতা হন দেবী। এই অসুর এক সময় স্বর্গ ও মর্তে নিজের অধিকার কায়েম করেছিল। ফলে বিপন্ন দেবতারা শরণাপন্ন হন মহাকালীর। দেবতাদের এমন অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন দেবী। এরপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। শারদীয়ার সময় অষ্টমী বা নবমী তিথিতে দেবীর এই রূপের পুজো করা হয়। তবে এক্ষেত্রে মূর্তিপুজো হয় না। এক থেকে ষোলো বছরের কোনও এক মেয়েকে কুমারী রূপে পুজো করা হয়।

Advertisement

৪৯৯ বছরের পুজোয় প্রতি নবমী নিশিতেই ‘কাঁদেন’ ঘোষবাড়ির দুর্গা ]

Advertisement

বর্তমানে কুমারী পুজোর প্রচলন অনেক কমে গিয়েছে। তবে রামকৃষ্ণ মিশনের মতো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই রীতিকে এখনও ধরে রেখেছে। অনেক সর্বজনীন পুজোতেও শারদীয়ায় কুমারী পুজো হয়। তেমনই একটি পুজো হল সমাজসেবী সংঘ। তাদের এবারের থিম ‘স্পর্শ- অনুভবের দুর্গাপুজো’।দৃষ্টিহীনরা যাবতীয় কাজকর্ম তিন ইন্দ্রিয় দিয়েই করে থাকেন। স্পর্শ, শ্রবণ ও ঘ্রাণ। এই তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখেই মণ্ডপ সাজিয়েছেন শিল্পী দম্পতি শুভদীপ ও সুমি মজুমদার। এখানে উমা আরাধনা যতটা, তার থেকেও পুজো অনেক বেশি অনুভূতির। তাই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখানে কুমারী পুজোও করা হল এক আংশিক দৃষ্টিহীন কন্যাকে।

তার নাম উৎসা সান্যাল। জন্ম থেকেই তার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল। বেহালার ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ডের ছাত্রী উৎসা। তবে চিকিৎসার পর এখন সে অনেকটাই স্বাভাবিক। এমন এক মেয়েকে কুমারী পুজোর জন্য বাছা হল কেন? শাস্ত্র বলছে, যে কোনও কুমারীকেই এই পুজোয় দেবীর রূপ হিসেবে পুজো করা যায়। তা সে ব্রাহ্মণকন্যাই হোক বা পতিতাতনয়া। এক্ষেত্রে যেমন বংশকূলগোত্রের কোনও বাধবিচার নেই, তেমনই খুঁত নিখুঁতের প্রশ্নও অপ্রাসঙ্গিক। আর তাছাড়া দৃষ্টিহীন কন্যারাও তো কুমারী। তাদের মধ্যেও বিরাজ করেন মহাকালী। তাহলে তারাই বা বাদ যাবে কেন? সমাজের কোলাসুরদের বধ করতে সমাজসেবী সংঘ তাই উৎসার পায়েই চড়িয়েছে অর্ঘ্য।

এবার পুজোয় আপনিও দুর্গা কিংবা অসুর, জানেন কীভাবে? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ