Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুজো

প্রথমবার পুজোর থিম সং গাইলেন কুমার শানু, ভিডিওয় শাঁখ বাজিয়ে নাচ খরাজের

এবার পুজোয় ডবল চমক নিয়ে হাজির ভামুরিয়ার বাথানেশ্বর সর্বজনীন।

Durga Puja 2019: Kumar Sanu lends voice for Purulia puja
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 25, 2019 2:59 pm
  • Updated:September 25, 2019 3:03 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সর্বজনীন পুজো কমিটির থিম শিল্পী অনির্বাণ দাস। তিনি মানেই নজরকাড়া থিম। সেই সঙ্গে এবার এই পুজো কমিটির চমক ঢাক-ধনুচির তালে জমাটি থিম সং! পুরুলিয়ার ভামুরিয়ার বাথানেশ্বর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির থিম সং গাইলেন কুমার শানু। আর সেই গানের ভিডিওতে একঝাঁক শিল্পীর সঙ্গে নাচের তালে আরতি করে শাঁখ বাজাতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা খরাজ মুখোপাধ্যায়কে। “ঢাকে যেই পড়ল কাঠি/ হয়ে যায় জমজমাটি/ আলোরই খুশির রঙে সব/ ধুনুচি নাচের তালে/ নাচে মন সাত সকালে/ আমাদের এই দুর্গোৎসব।” সম্প্রতি এই থিম সঙের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার পরই পুজোর আয়োজক থেকে শুরু করে ভামুরিয়ার মানুষজন, সকলের মোবাইলের রিংটোন হয়ে গিয়েছে এই গান। সেই সঙ্গে এই গানের ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল সাইটে।

[আরও পড়ুন: সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেবে বেলেঘাটার এই পুজো]

দুর্গোৎসব মানেই কাশফুল, ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ধুনুচি। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই এই গান রচনা করে সুর দেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার হাতিবাগানের লাহা বাড়ির ঠাকুর দালানে এই থিম সঙের ভিডিওর শুটিং হয়। এই গানে পুজোর নানান সামগ্রী যেমন উঠে এসেছে তেমনই শরৎ–এর প্রকৃতি, পঞ্চকোট পাহাড়ের কোলে কাশবন, দামোদরের নদের তীরে এক টুকরো ভামুরিয়াও যেন উঁকি দিচ্ছে। গতবারই এই পুজোর অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ভামুরিয়া মাতিয়েছিলেন কুমার শানু। আর এবার তাঁর গলায়ই পুজোর থিম সং শুনছে পুরুলিয়া। “পুরুলিয়া মাতল আবার/ পোষাকের রঙিন বাহার/ আমাদের বাথানেশ্বর/ রমরমা মজাতে ভাই/ চল ভামুরিয়াতে যাই/মেতে যায় বাঙালিদের ঘর।”

Advertisement

kumar-sanu-3

Advertisement

শিল্পী কুমার শানুর কথায়, “এই গানটা একেবারেই গতানুগতিক নয়। একটু আলাদা। ভীষণই রিদিমিক। তবে পরে আবার সেই ঢাকে ফিরে এসেছি। গান শুনে মানুষজন ভীষণ নাচবেন। আমারও গানটা গেয়ে ভীষনই ভাল লেগেছে।” প্যান্ডেলেও বাজছে ওই গান, “বাজা রে, বাজা রে, বাজা ঢাকঢোল কাঁসর বাজা/ পুজোর সাজে এল রে আজ মা/ সে যে সবার দুর্গা মা।” গানের কথা ও সুরকার শোভন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে পুজো মানেই ঢাক, কাঁসর, ঘন্টা আর কাশফুল। তাই গানের কথায় এই বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। কথায় পুজোর গন্ধ না থাকলে কি করে হবে, তাই না!” হঠাৎই নিম্নচাপের মেঘ উঁকি দিলেও তাকে তোয়াক্কা না করে এই থিম সঙের তালে ভামুরিয়ার মণ্ডপ সাজানোর কাজ করছেন শিল্পীরা।

          [আরও পড়ুন: ইছামতীর পাড়ে ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়িতেই ৫৭৭ বছর ধরে আলো ছড়িয়ে আসেন উমা]

এই পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা হীরালাল মাজি বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা থিম সং করছি। আসলে পুজোয় আমরা যে শিল্পকর্ম তুলে ধরি তা থিম সঙের মাধ্যমে একেবারে সম্পূর্ণতা পায়। তবে এবার থিম সঙ একটু আলাদা। কুমার শানুকে দিয়ে এই গান গাইয়েছি আমরা। ফলে তাঁর কন্ঠে থিম সং আমাদের পুজোকে এবার আরও জনপ্রিয় করে তুলবে।” নিম্নচাপের কালো আঁধার সরিয়ে এই থিম সং-ই যেন মণ্ডপে আলো ফেলছে! “মাগো তোমার আগমনে/ ঘরে ঘরে খুশি থাক/ হৃদয় জুড়ে থাকলে আশীষ/ সব অন্ধকার দূরে যাক/ ছন্দেতে আজ মাতল সবাই/ মাতল আবার কাশবন/ শরৎ–রই মেঘের মতন/ গেয়ে উঠুক সবার মন।”

ছবি: অমিত সিং দেও

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ