Advertisement
Advertisement
সম্প্রীতির উৎসব

হাতে হাত মিলিয়ে কাটোয়ার সরকারি আবাসনে দুর্গা আরাধনায় মাতেন হিন্দু-মুসলিমরা

দুর্গাপুজো মানেই এখানে সম্প্রীতির উৎসব।

Durga Puja is celebration of harmony at this puja in Katwa
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 4, 2019 3:08 pm
  • Updated:October 4, 2019 3:08 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে কাটোয়ায় শারোদৎসবে শামিল আজমীর–বজরুলরাও। শুধু শামিল বললে অনেক কম বলা হবে। কারণ, পুজোর পরিচালনায় একেবারে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব দায়িত্বও তাঁদের কাঁধেই। কাটোয়ার সরকারি আবাসনের দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক আজমীর মণ্ডল। তিনি কাটোয়া ১ ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা।

[আরও পড়ুন: পুজোর উপহার, যৌনকর্মীদের জন্য স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলার আশ্বাস মন্ত্রীর]

বজরুল কবির মণ্ডল সভাপতি। তিনিও সরকারি আধিকারিক। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের পরশে কাটোয়া সরকারি আবাসনে দুর্গোৎসব হয়ে উঠেছে প্রকৃত অর্থে সম্প্রীতির এক মহোৎসব। কাটোয়া সার্কাস ময়দান পাড়ায় রয়েছে সরকারি আবাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আবাসনে বর্তমানে রয়েছে ৬৮টি পরিবার। আবাসিকরা প্রতি বছর নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকেন। কমিটির সম্পাদক আজমীর মণ্ডল জানাচ্ছেন, এবছর পুজোর অষ্টম বর্ষ। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কাটোয়া আবাসনের পুজোর ধুম অনেকটাই বেশি।
৬৮ টি পরিবারের মধ্যে ৬টি পরিবার মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁরাও সমানভাবে পুজোর আয়োজনে অংশ নিয়েছেন। সভাপতি বজরুল কবির মণ্ডল কোষাধ্যক্ষ সুবীর মণ্ডলরা বলেন, ‘আবাসিকদের মধ্যে আমাদের প্রায় সকলের বাড়ি বাইরে। কিন্তু পুজোর ছুটিতে কোনও পরিবার তাঁদের দেশের বাড়ি যাননি। সকলেই আবাসনের পুজোতেই ব্যস্ত রয়েছেন। সকলের দায়িত্ব ভাগ করা আছে।’
এই আবাসনেরই আবাসিক কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ত্রিদিব সরকার। তাঁর কথায়, ‘আবাসনের সব পরিবার পুজোর কয়েকদিন একাত্ম হয়ে একটি যৌথ পরিবার হয়ে ওঠে। এটাই তো উৎসবের সার্থকতা।’ আজমীর মণ্ডল বলছেন, ‘সপ্তমীর দিন থেকে আবাসিকদের কারও ঘরেই রান্না হবে না। রাঁধুনি ভাড়া করে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হবে।’ সপ্তমীর বিকেল থেকেই থাকছে ঘরোয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঢাকে বোল ফুটিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন মন্তেশ্বরের দশভুজারা]

কচিকাঁচা থেকে সকলেই তাতে অংশ নেবেন। আবাসিক পরিবারের গৃহবধূ রুবিনা মণ্ডল, নূপুর চট্টোপাধ্যায়, রেশমা খাতুনরা বলেন, ‘সারা বছর একই ছাদের তলায় আমাদের কাটে। সকলের সঙ্গে সকলের সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু পুজোর সময় একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া আর হই-হুল্লোড় করার আনন্দটাই আলাদা। সারাবছর মুখিয়ে থাকি এই কয়েকদিনের জন্য।’
ছবি: জয়ন্ত দাস।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ