পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷
সন্দীপ্তা ভঞ্জ: রসে বশ হয় বাঙালিরা! শুনতে অবাক লাগছে তো? আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যাক তাহলে। আমরা অনেক সময়েই বলি, ‘রসেবসে বাঙালি’। নিছকই চলতি কথা। কিন্তু এই রসের ধারাতেই বয়ে চলেছে সমগ্র মানবজাতি। হাসছেন, কাঁদছেন, আবার কখনও বা রূদ্রমূর্তি ধারণ করছেন, যাবতীয় অভিব্যক্তি আমাদের চলন-বলনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর এই মজার বিষয়টি যদি চাক্ষুষ করা যেত, তাহলে? আলবাত, মন্দ হত না! এবার পুজোয় আপনাকে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীন।
[আরও পড়ুন: বীরভূমের স্নাতক ছাত্রীর হাতে রূপ পাচ্ছেন দুর্গা, মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত পিতা ]
একটু শাস্ত্রে ফিরে যাই। ভরত মুনি নাট্যশাস্ত্র অনুযায়ী এই ‘রস’ ভিন্ন প্রকারের। আর সেই ভিন্ন ধরনের ‘রস’ই এবার দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় পুজো হিন্দুস্তান পার্ক সর্বজনীনের মণ্ডপে ফুটে উঠবে। থিমের নাম ‘নবরস’। ভাবনায় অনির্বাণ দাস।
বাঙালি মাত্রেই রসিক। আর সেই রসের ধারাতেই এবার হিন্দুস্তান পার্ক সর্বজনীনের দুর্গাপুজো বশ করবে আপনাদের। ‘নবরস’-এর ‘নবধারা’য় সেজে উঠছে দক্ষিণ কলকাতার এই জনপ্রিয় মণ্ডপ। ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্রে প্রথমটায় আটটি রসের উল্লেখ ছিল। যথাক্রমে- হাস্য, করুণ, বীর, রৌদ্র, ভয়ানক, বিভৎস ও অদ্ভূত রসের উল্লেখ ছিল। তবে পরবর্তীকালে শান্ত রসটিও রস হিসেবে বিবেচিত হয়ে ‘নবরস’ শব্দ বন্ধনীতে স্থান পেয়েছে। এই নয় রকমভাবেই সম্পৃক্ত এবারের হিন্দুস্থান পার্ক সর্বজনীন এর পুজো ও মণ্ডপ। মণ্ডপে ভিন্ন রসের উপস্থিতি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দেবীপক্ষের আগেই পুরোদমে পুজো শুরু বিষ্ণুপুরের এই রাজ পরিবারে ]
হিন্দুস্তান পার্ক সর্বজনীনের মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি করছেন অনির্বাণ দাস। শিল্পী অনির্বাণ দাসের এই ‘নবরস’ ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে আলোক নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী এবং আবহে অবদান রয়েছে শিল্পী শতদল চট্টোপাধ্যায়ের। এবছর ৮৯তম শারদোৎসব পালন করছে হিন্দুস্তান পার্ক সর্বজনীন। এবার দেখার এই ‘নবরস’ ভাবনা কতটা বোধগম্য হয়ে ওঠে সাধারণের কাছে।