Advertisement
Advertisement

Breaking News

Venus

শুকতারায় প্রাণ? শুক্রগ্রহের মেঘের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে রোমাঞ্চিত বিজ্ঞানীরা

আশা জাগাচ্ছে ফসফিন যৌগ।

Astronomers hope as they receive hints of life in Venus’s clouds| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 15, 2020 3:08 pm
  • Updated:September 15, 2020 4:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলের পর আরেক প্রতিবেশী গ্রহেও প্রাণ খুঁজে পাওয়ার আশা উজ্জ্বল বিজ্ঞানীদের চোখে! নাম তার – শুকতারা অর্থাৎ শুক্রগ্রহ (Venus)। সম্প্রতি এই প্রতিবেশী গ্রহের মেঘের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে তাঁরা প্রাণ সঞ্চারের সম্ভাবনা টের পেয়েছেন বলে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে।

শুক্রগ্রহ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হাওয়াই এবং চিলিতে দুটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ বসানো হয়েছিল। সেখান থেকেই দেখা গিয়েছে, প্রতিবেশী গ্রহের মেঘে ঘন হয়ে জমেছে ফসফিন (Phosphine), যার সঙ্গে মিল রয়েছে পৃথিবীর গ্যাসের। আর এতেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে, তাহলে শুক্রেও থাকলে থাকতে পারে প্রাণ? উষ্ণ শুক্রগ্রহের অনেক উপরের স্তরের মেঘ বিশ্লেষণ করে পাওয়া গিয়েছে সালফিউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতিও। তাতে বিজ্ঞানীদের (Astronomers) ধারণা, এখানে কোনও অণুজীবী (Microbes) থাকতে পারে, যাদের প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ কোনও ধারণা নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চাঁদের সম্পত্তিতে হাত বাড়াচ্ছে নাসা, খনিজ উত্তোলনের জন্য চলছে খননকারীর খোঁজ]

১৯৬৭ সালে বিজ্ঞানী কার্ল সাগান শুক্রের মেঘ সম্পর্কে গবেষণার পর প্রাণের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। তবে তাঁর সেই দাবির তেমন শক্তপোক্ত ভিত ছিল না বলেই মনে করেছেন পরবর্তী সময়ের বিজ্ঞানীরা। এবার হাওয়াই আর চিলির টেলিস্কোপ ফের সেই সম্ভাবনা উসকে দিল। ইমপেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডনের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক ডেভিড ক্লিমেন্টস বলছেন, “আমরা এখনও হাতেকলমে কোনও প্রমাণ পাইনি। তবে বাতাসে কর্ডাইট অর্থাৎ ধোঁয়া-গন্ধবিহীন একটা রাসায়নিকের উপস্থিতি আছে বলে মনে হচ্ছে। যা অন্যান্য গ্রহের চেয়ে পৃথক। তাই আশা জাগছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: গোয়ার জঙ্গলে অদ্ভুত মাশরুমের জন্ম, রাতের অন্ধকারে জোনাকির মতো ছড়াচ্ছে আলো]

আসলে, আমাদের সৌরজগতের বাইরে কোনও মহাজাগতিক গবেষণার জন্য রসায়নই সম্বল। সেখান থেকে পাওয়া যে কোনও কণা অথবা পরিবেশের রাসায়নিক ধর্ম বিচার করেই তার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা জন্মায়। ফসফিন নামে যে যৌগটি শুক্রের মেঘে মিলেছে, তা আসলে তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু (Hydrogen) এবং একটি ফসফরাস (Phosphorus) পরমাণুর বিক্রিয়ায় তৈরি। পৃথিবীতে ফসফিন তৈরি হয়ে থাকে সাধারণত কৃত্রিমভাবে, অর্থাৎ গবেষণাগারে বিক্রিয়া ঘটিয়ে। আর গবাদি পশু কিংবা অণুজীবীর শরীরেও অল্পমাত্রায় মিলতে পারে। অনেক বিজ্ঞানীর মতে, এটি কোনও কাজের যৌগ নয়, স্রেফ বর্জ্য। তবে এ নিয়ে মতভেদ আছে বিজ্ঞানীমহলেই। এখন মেঘে ঢাকা শুকাতারার ফসফিন যৌগ তো আশাই জাগাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ