Advertisement
Advertisement
Fund crisis at Zoo

করোনার কোপে বন্ধ অর্থসাহায্য, বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের নিয়ে চিন্তায় অধিকাংশ চিড়িয়াখানা

ইংল্যান্ডের বহু চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।

COVID-19: Funding crisis threatens zoos' conservation work in UK, Australia| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 1, 2020 3:05 pm
  • Updated:October 1, 2020 3:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) আবহে টানা কয়েক মাস বন্ধ বিশ্বের প্রায় সমস্ত চিড়িয়ানা। পর্যটকদের পা পড়েনি বহু মাস। ফলে আয়ের একটা উৎস সম্পূর্ণ আটকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিউ নর্মালে চিড়িয়াখানা খোলার পর দেখা যাচ্ছে, অর্থসংকট এতটাই তীব্র যে প্রাণীদের রক্ষণাবেক্ষণের ন্যূনতম খরচটুকু জোগানোও প্রাণান্তকর হয়ে উঠেছে। ইংল্যান্ড-সহ ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া একাধিক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির (Endangerd species) প্রাণীদের প্রজনন প্রক্রিয়াটাও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। চিন্তা বাড়ছে এদের বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে।

Fund crisis at Zoo

Advertisement

জুলজিক্যাল সোসাইটি অফ লন্ডনের (ZSL) আধিকারিক ডক্টর ডন ইয়েনের কথায়, ”আসলে বেশিরভাগ লুপ্তপ্রায় প্রাণীর ভবিষ্যৎ মানুষের প্রযত্নের উপর নির্ভরশীল। মানুষের সহায়তায় তাদের বংশবৃদ্ধি হতে পারে, প্রজাতিটা বেঁচে যেতে পারে বিলুপ্তির হাত থেকে। এই পরিস্থিতিতে আমাদেরই বুঝতে হবে যে ওদের বাঁচাতে পারব নাকি হারিয়ে যেতে দেখাই আমাদের ভবিতব্য।” করোনা কালে ঠিকমতো সরকারি সাহায্যও মিলছে না বলে চিড়িয়াখানাগুলির পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। ইংল্যান্ডের কয়েকটি বড় চিড়িয়াখানা বন্ধের মুখে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য মারা হতে পারে পাঁচ লক্ষ হাঙরকে! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের]

শুধু চিড়িয়াখানাই নয়, বিভিন্ন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ (Conservation) কেন্দ্র, মৎস্য এবং পক্ষী সংরক্ষণ কেন্দ্রও অর্থাভাবে ধুঁকছে। প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে না থাকায় প্রাণীদের যত্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী রোজ পরিমাণমতো খাবারটুকু দিতেও সমস্যার মুখে পড়ছেন কর্মীরা। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক স্তরের বহু প্রকল্পও আটকে গিয়েছে। সরকারি তরফে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে সাহায্যের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। তবে তা বাস্তবায়নের থেকে বহু দূরে এখনও। পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ডে ৩০০টি চিড়িয়াখানার মধ্যে মাত্র একটিই পেয়েছে সরকারি ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড। বাকি কারও হাতেই সেই অর্থ এখনও আসেনি।

[আরও পড়ুন: মঙ্গলে চমক! লালগ্রহের বুকে তিনটি ‘হ্রদ’ খুঁজে পেলেন গবেষকরা]

চেস্টার চিড়িয়াখানার প্রাক্তন অধিকর্তা ড. আলোকজান্ডার জিমারম্যানের কথায়, ”চিড়িয়াখানা বা সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে হাজার হাজার প্রজাতির প্রাণীর যত্ন নেওয়া হয়, তাদের সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া হয়। কোভিড সংকটের সময় যদি অর্থের অভাবে তা না দেওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে, মহামারীর পরোক্ষ শিকার বন্যপ্রাণ।” আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ৭৭ রকমের বিরল প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে। এদের বাঁচানো প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে তাদের ভবিষ্যত চূড়ান্ত অনিশ্চিত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ